ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি মিরাজের
1 min readপ্যাডল সুইপ করা বলটি ফাইন লেগে যেতেই নিশ্চিত হয়ে গেল সেঞ্চুরি, এক রান পূরণ করেই আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সেই বলে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় রান নেয়ার, নিলেন সেটিও। এটিই যেন ভালো হলো, সেঞ্চুরির পূর্ণ উদযাপনটা নিজেদের ড্রেসিংরুমকে সামনে রেখেই করতে পারলেন মিরাজ।
হেলমেট খুলে, দুই হাত উঁচিয়ে মুখে বড় হাসিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন সারলেন তিনি, ভোলেননি শুকরিয়া সিজদাহ দেয়ার কথাও। নিঃসন্দেহে তখন বিশ্বের অন্যতম সুখী মানুষটির নামই মেহেদি মিরাজ। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পাশাপাশি দলের সংগ্রহটা দারুণ অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার পর আনন্দের আতিশয্য যে তারই মানায়।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল সাদমান ইসলাম এবং সাকিব আল হাসানের সামনে। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পর তারা বেশিদুর এগুতে পারেননি। সাদমান আউট হয়েছেন ৫৯ রানে এবং সাকিব আউট হয়েছেন ৬৮ রানে। তবে, ২৬ মাস পর হাফ সেঞ্চুরি করে আর থেমে থাকেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। অসাধারন ব্যাটিং করে নিজের ইনিংসকে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত তিন অংকের ঘর ছোঁয়ালেন বাংলাদেশের এই অফস্পিন অলরাউন্ডার।
ব্যাট করতে নেমেছেন আট নম্বরে। এই জায়গা থেকে সেঞ্চুরি করা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু মিরাজ সেটা করে দেখিয়েছেন। ক্যারিবীয় বোলারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ১৬০ বল খেলে সেঞ্চুরি করেন মিরাজ।
মিরাজ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ইনিংসের ১৪৮তম ওভারে। জোমেল ওয়ারিকানের করা সেই ওভারের শুরুতে মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। প্রথম বলেই চার মেরে পৌঁছে যান ৯৭ রানে, পরের বলে নেন আরও ২ রান। সেঞ্চুরির জন্য তাড়া দেখাননি, তৃতীয় বল খেলেন ডট। চতুর্থ বলে প্যাডেল সুইপ করেই পৌঁছে যান ম্যাজিক ফিগারে।
বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আট নম্বর বা তার নিচে নেমে টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন মিরাজ। তার আগে মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ পাইলট, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আবুল হাসান রাজু ও সোহাগ গাজীদের রয়েছে এ কীর্তি। তাদের পাশে নিজের নাম বসিয়ে দলীয় সংগ্রহটাও ৪৩০ রানে নিয়ে গেছেন ২৩ বছর বয়সী এ স্পিনিং অলরাউন্ডার।