বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কবি নজরুলের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক ছিল
1 min readসংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলামের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক ছিল।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নজরুলকে বাঙালি জাতির জাতিসত্তা বিনির্মাণের ঐতিহাসিক রূপকার হিসেবে সম্বোধন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নজরুলকে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়।’
কে এম খালিদ বলেন, ‘অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের দুঃসময়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানে আশ্রয় খুঁজতেন, অনুপ্রেরণা পেতেন। তাই কবিগুরু রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচন করে কবির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধন চিরস্থায়ী করেছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলা সাহিত্য দুজনের কাছে ঋণী। এই দুই দিকপালের একজন আর্থিক প্রাচুর্যের মধ্যে আর অন্যজন আর্থিক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন ও সাহিত্য রচনা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যচর্চা করেছেন প্রায় ৬৮ বছর। অন্যদিকে নজরুল সাহিত্যচর্চা করতে পেরেছেন মাত্র ২০-২৫ বছর। রবীন্দ্রনাথ যখন বাংলা সাহিত্যে রাজত্ব করছেন, ঠিক সে সময়টায় উত্থান ঘটে কবি নজরুলের। নজরুল ৩৪ বছর ১২০ দিন নির্বাক ছিলেন। এ দীর্ঘ সময় তিনি নির্বাক না থাকলে বাংলা সাহিত্যকে আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন।’
অফিসার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর দে। স্বাগত বক্তব্য দেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।