রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠক হয় বলে সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন দেওয়া ও বাংলাদেশের উপর অন্যায্য বোঝা কমানোর কথা তুলে ধরে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ‘বৈশ্বিক নেতা’ হিসাবে যুক্তরাজ্যকে এই প্রস্তাব দেন মোমেন।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার ১১ লাখের বেশি মুসলমান রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে অনেক বছর ধরে।মিয়ানমারকে তাদের এই নাগরিকদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ বলে এলেও প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি। এদিকে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী এখন বাংলাদেশের জন্য ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সরকারের ভাষ্য।
সেই রোহিঙ্গাদের নিয়ে এমন প্রস্তাব পেয়ে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিজ ট্রাস বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে যুক্তরাজ্য; যদিও রোহিঙ্গা সঙ্কটের উৎকৃষ্ট সমাধান হচ্ছে, নিজ দেশ মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন।”
উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র। ছবি: আব্দুর রহমানবৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাবে প্রত্যাবাসন ঝুলে থাকার বিষয়টি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মোমেন।অতীতে কয়েক দফায় মিয়ানমার যে তার নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে, সেটার আদ্যোপান্তও বলেন তিনি।
লিজ ট্রাস মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি আসিয়ান ও জি-৭ দেশগুলোর মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের চাপ বাড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইউক্রেইন পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করেন তারা।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে, বিশেষ করে দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে লিজ ট্রাসকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোমেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।