ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউছুল আজমের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তার শ্বাসনালী পুড়ে গিয়েছিল।
গত ৪ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার বেসরকারি ওই কনটেইনার ডিপোটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় বিস্ফোরণ ঘটলে আহত হন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ২ শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় গাউসুল আজমসহ এখন পর্যন্ত ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হলো। আর সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭-এ।
ঘটনার পরের দিন গত ৫ জুন চট্টগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে গাউছুল আজমসহ সাত জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিনই তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার (১১ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, এ ঘটনায় মোট ২১ জন রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যার মধ্যে একজন মারা গেলেন।
প্রসঙ্গত, গাউছুল আজমের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এই ফায়ার সার্ভিস কর্মীর পাঁচ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।