May 19, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে: প্রধানমন্ত্রী

1 min read

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের অনেকেই মাদক ও নারী পাচারে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘ সময়ের সমস্যা। বাংলাদেশ কতদিন এত বড় বোঝা বহন করবে।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভাষানচরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে, যেখানে তারা আশ্রয়ের উন্নত সুবিধা পাচ্ছে।

এ সময় কানাডার হাইকমিশনার বলেন, কানাডা সবসময় বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য দাতব্যের মাধ্যমে একটি অতিরিক্ত তহবিল তৈরি করছে।

উভয়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে, যুদ্ধ সর্বদাই জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়।

বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

উভয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়তে পারে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কানাডার সঙ্গে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উন্মুখ।

তিনি বলেন, কানাডায় প্রবাসী বৃহৎ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী দুই দেশের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ বাড়াতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখছে।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে কানাডা বাংলাদেশকে সমর্থন করছে। করোনা চলাকালীন কানাডা সবসময় সহায়তা করেছে এবং মহামারির শুরু থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কানাডার সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং সরঞ্জাম প্রদান করার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদ জানান।

কানাডার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে এবং কানাডা সরকারকে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম প্রোগ্রামে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করছি।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *