রমজানে পেটে সমস্যা দূর করতে যা খাবেন
1 min readরমজান মাসে বেশি ভাজা-পোড়া খাওয়ার কারণে কারো কারো পেটের সমস্যা দেখা দেয়। আবার বাহিরের খাবারে ফুড পয়েজনিংয়ের কারণে হঠাৎ করে পেটে সমস্যা দেখা শুরু হয়। তাই পেটের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কিছু ঘরোয়া খাবার খেলে দ্রুত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন। লেবুর পানি পেট খারাপ করলে লেবুর পানির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে! আসলে লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ পেটে সমস্যা কমায়, সেই সঙ্গে এই ফলে রয়েছে নানাবিধ খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পেট খারাপের সময় শরীর থেকে খনিজ পদার্থ বেড়িয়ে যায়। ফলে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে ডাবের পানির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে পেটকে স্বাভাবিক করে। পেট খারাপের মোকাবিলা করতে রমজানে সেহরিতে কম করে ডাবের পানি খেতেই হবে। তবেই কিন্তু সুফল মিলবে। ছবি: সংগৃহীতআদা: পেট খারাপ হলে আদার কোনো বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এমন ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজ করে। এ ক্ষেত্রে ১ কাপ বাটার মিল্কে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। এই পানীয়টি ইফতারি ও সেহরির সময় খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চোখের নিমেষে হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেট খারাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ইফতারের পরে দুই-তিনবার দারুচিনির পাউডার দিয়ে তৈরি চা খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে। ছবি: সংগৃহীতমেথি বীজ: ১ চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মেথি বীজ মিশিয়ে ইফতারের পর ২-৩ বার খেতে হবে। সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা এবং বদ হজম কমে যাবে। পেট খারাপ হলেই এক বাটি তাজা টক দই খেয়ে নেবেন। তাহলেই বারে বারে আর বাথরুমে ছুটতে হবে না। আসলে টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাতটেরিয়াম নামে দু ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া কমাতে দারুণ উপকারে লাগে। যেকোনো ধরনের পেটের রোগ সারাতেই এই ফলটি দারুণ কাজে আসে। আসলে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, যা আপনার পেটকে করবে স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস বাটার মিল্কে ১টা কলা চটকে নিয়ে মিশিয়ে নিন