May 18, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

ফের পুরোনো আমেজে ফিরছে মঙ্গল শোভাযাত্রা

1 min read

করোনার কারণে দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। শনাক্ত কমে যাওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’। লোকজ সংস্কৃতিকে ধারণ করে সাজানো হবে শোভাযাত্রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, এবারের শোভাযাত্রায় টেপা পুতুল, পাখাওয়ালা মাছ, ঘোড়া ও পাখির প্রতিকৃতি প্রাধান্য পাচ্ছে। এর বাইরে বিভিন্ন পুতুল, মুখোশ, সরাচিত্র ইত্যাদি প্রদর্শন করা হবে।

চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে চারুকলার জয়নুল আর্টস গ্যালারিতে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ বিক্রির জন্য প্রদর্শনী করা হয়েছে। বাইরে একদিকে শিল্পীরা বিভিন্ন চিত্র আঁকছে, ছবি বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শনী করছে, বিভিন্ন কারু শিল্পের জিনিসও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শনী করছেন শিল্পীরা। চারুকলার বাইরের সীমানা প্রাচীরে বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির চিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। ভেতরের বাচ্চাদের স্কুল ঘরটি নকশিকাঁথার লোকজ সংস্কৃতির চিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।

চারুকলায় মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব প্রতি বছরই দায়িত্ব দেওয়া পায় একটি করে ব্যাচ। গত দুই বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা সীমিত পরিসরে হওয়ায় এবার চারুকলার ২২ ও ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এর দায়িত্ব পেয়েছে।

২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও চারুকলা অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন সুজন  বলেন, এবারের আয়োজন চারুকলায় পুরোনো আমেজ নিয়ে আসছে। সবাই দিন-রাত কাজ করছে। আশা করছি আমরা যথাসময়ে কাজ গুছিয়ে নিতে পারবো।

তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন আমরা নিজেরা বহন করি। রমজান মাস হওয়ায় মানুষের আসা একটু কমে গেছে। যার ফলে আমাদের চিত্রকর্মগুলোর বিক্রি কমে গেছে। এক্ষেত্রে আমাদের একটু ব্যয় নিয়ে চিন্তা করা লাগছে। কিন্তু এটা খুব বেশি সমস্যা হবে না। আমাদের আহ্বান থাকবে, মানুষজন চারুকলায় আসুক। আমাদের চিত্রকর্মগুলো অন্তত দেখুক।

মঙ্গল শোভাযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে কারুশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মুমিন মিল্টন বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা আগের বারের মতোই শুরু হচ্ছে। তবে এর আকার ও জায়গা একটু কম। মেট্রোরেলের কারণে এবারের শোভাযাত্রা টিএসসি থেকে ঘুরে স্মৃতি চিরন্তন হয়ে টিএসসি এসে শেষ হবে।

‘অন্যবার চারুকলা থেকে শুরু হয়ে টিএসসি, বাংলা একাডেমি, হাইকোর্ট, রমনা, শাহবাগ হয়ে চারুকলায় এসে শেষ হতো। তারপরও এবার যে হচ্ছে তা খুব আনন্দের বিষয়।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *