May 18, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

পি কে হালদারকে আদালতে তোলা হবে আজ, ৩ দিনের রিমান্ড চায় ইডি

1 min read

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালানো প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ছয়জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হবে আজ রোববার (১৫ মে)।

বর্তমানে গ্রেফতাররা দেশটির অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতে রয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনলাইনে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডির একটি সূত্র। পুরো ঘটনায় কারা জড়িত, সেই রহস্য উদঘাটন করতে চায় সংস্থাটি।

ইডি সূত্র জানিয়েছে, ইডির পক্ষ থেকে অনলাইনে আদালতের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। তবে সশরীরে রোববার (১৫ মে) গ্রেফতার ছয়জনকে আদালতে তোলা হবে। রোববার ভারতের বিশেষ আদালত ছাড়া বাকি সব আদালতে সাপ্তাহিক ছুটি। তাই আদালতের কাছে শনিবার রাতে অনলাইনে আগাম একটি আবেদন করে রেখেছে সংস্থাটি। সেখানে তিনদিনের রিমান্ড আবেদনও করা হয়েছে।

তবে ইডির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা সরকারিভাবে শনিবার (১৪ মে) রাত পর্যন্ত পি কে হালদারের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিংও দেওয়া হয়নি। ফলে আদালতে হাজির করা এবং রিমান্ড আবেদন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ছড়িয়েছে।

গ্রেফতার অন্য পাঁচজন হলেন- উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী।

এর আগে ভারতে পি কে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পায় দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। কলকাতায় পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে এ অর্থের সন্ধান মেলে। শুক্রবার (১৩ মে) সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।

ইডি জানায়, প্রশান্ত হালদার নামে এক বাংলাদেশি হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারই সহযোগী সুকুমার মৃধা বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী।

সুকুমার মৃধার বাড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তার অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাছের ব্যবসার আড়ালে বিপুল পরিমাণ বেআইনি টাকার লেনদেন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *