May 3, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

নিয়মবহির্ভূতভাবে দেদারছে ওয়াকিটকি বিক্রি, অনুমোদন ছাড়াই আমদানি

1 min read

২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর হাজী সেলিমের ছেলে ও কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমের বাসায় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৩৮টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করে। এরপর থেকে দেশব্যাপী ওয়াকিটকি বৈধ এবং অবৈধ ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। কারণ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি কোম্পানি, শপিংমল, হোটেল, ক্লিনিক, সামাজিক অনুষ্ঠান, মিল-কলকারখানা ও সমাবেশসহ নিরাপত্তার জন্য অনেকেই ওয়াকিটকি ব্যবহার করেন।

বিজ্ঞাপন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে ওয়াকিটকি ওয়্যারলেস সেট। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া ওয়াকিটকি বিক্রি ও ব্যবহারের নিয়ম নেই। তবুও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে ওয়াকিটকি এনে দেদারছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদন ছাড়াই বিক্রি করছে সাধারণের মাঝে। অবৈধ ওয়াকিটকি যারা ব্যবহার করছে তাদের বিটিআরসি সেন্ট্রালি শনাক্ত করতে পারে না। এ নিয়ে বিটিআরসির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে ওয়াকিটকি আমদানি করার ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমোদন লাগে। কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই আমদানি করছেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ী।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, সাধারণের অবাধে ওয়াকিটকিসহ সরঞ্জামাদি বিক্রি ও ব্যবহার রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কেননা এসব রেডিওর ফ্রিকোয়েন্সি সরকারি বাহিনীগুলোর ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সিতে ইন্টারফেয়ারেন্স তৈরি করতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহারের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাজধানীর সায়েদাবাদ, মনিপুরীপাড়া, রাজারবাগ ও শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি ওয়্যারলেস সেট ও বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অভিযানে অবৈধ ৩১৭টি বিভিন্ন প্রকার ওয়াকিটকি সেট, ১১৬টি মোবাইল ও পাঁচ হাজার ২৪৪টি আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লাখ টাকা।

পরদিন রাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ৫৫ (৭) মোতাবেক ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য কোনো প্রকার লাইসেন্স বা তরঙ্গ গ্রহণ না করেই এ চক্রটি ব্যবসা করছিল। এছাড়া একই আইনের ৫৭ (৩) ধারা মোতাবেক ওয়াকিটকি আমদানি করার আগে বিটিআরসি থেকে অনাপত্তি নেওয়ার বিধান থাকলেও তারা তা ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানির পর বিক্রি করেছে।

এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে বিদেশ থেকে এক বছর ধরে লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকিটকি সেট ও সরঞ্জামাদি অবৈধপথে সংগ্রহ করছিল চক্রটি।

বিটিআরসি থেকে জারি করা নির্দেশনা মোতাবেক সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তির মাধ্যমে কালো রঙের ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

সম্প্রতি বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাজধানীতে অনুমোদনহীন জ্যামার, বুস্টার ও রিপিটার বিক্রয় এবং ব্যবহার বন্ধে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম মার্কেটের রহিম ইলেকট্রনিক্স, তেজকুনিপাড়ার মধুমতি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ইলেকট্রিক এবং এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারের ফেমাস ভিশন লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেসময় ওই দোকানগুলো থেকে আটটি জ্যামার, ৩০টি বুস্টার এবং একটি রিপিটার জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ টেলিযোগাযোগ সামগ্রী বিক্রির অপরাধে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে রাজধানীর পল্টন এবং তেজগাঁও থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর বিধান অনুযায়ী পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

এরপর গত ১৫ মে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় আইটিস্টলডটকমবিডি এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অবৈধ জ্যামার, বুস্টার এবং রিপিটার বিক্রি রোধে অভিযান চালায় বিটিআরসি ও র‌্যাব। ওই অভিযানে চারটি জ্যামার, তিনটি বুস্টার, চারটি এসি অ্যাডাপটর, ২৪ টি জ্যামার অ্যান্টেনা, পাওয়ার ক্যাবল বুস্টারের ৯টি আউটডোর অ্যান্টেনা, বুস্টারের ২৪টি ইনডোর অ্যান্টেনা, ৩৭টি বুস্টারের ক্যাবল ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। এ সময় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর বিধান অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।

এছাড়া নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২০ ও ২৫ মার্চ এবং ১১ মে বিটিআরসির পরিদর্শক দল অনলাইন মার্কেট প্লেস দারাজ, বিডিস্টলডটকম এবং ক্লিকবিডি লিমিটেডের অফিস পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে এসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট/অ্যাপ থেকে অবৈধ জ্যামার, বুস্টার, রিপিটার এবং বিটিআরসির অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্রপাতি বিক্রয়কারী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ব্লক করে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনসমূহ অপসারণ করা হয়। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেজ, লিংক এবং গ্রুপসমূহে এ ধরনের কোনো বিজ্ঞাপন পাওয়া গেলে তা অপসারণ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কমিশন কর্তৃক প্রতীয়মান হয়েছে যে, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে জ্যামার স্থাপন করা হয়েছে। ফলে ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আশপাশের আবাসিক ভবন, স্কুল, হাসপাতাল এবং অন্যান্য জরুরিসেবা কেন্দ্রসমূহের মোবাইল নেটওয়ার্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এ অবস্থায় এভাবে জ্যামার ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। একইসঙ্গে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, টিভির স্ক্রলে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারসহ কমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জ্যামার, বুস্টার ও রিপিটার ক্রয়/বিক্রয়/স্থাপন/ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিটিআরসির নিয়মিত নজরদারি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় তথ্যের ভিত্তিতে এ ধরনের অভিযান ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। জনসাধারণকে এসব অবৈধ জ্যামার, বুস্টার, রিপিটার এবং বিটিআরসির অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্রপাতি ক্রয়/বিক্রয় এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে বিটিআরসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাধারণ মানুষ ওয়াকিটকি বহনকারী কোনো ব্যক্তিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বলে মনে করেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধীরা ভুয়া ডিবি, র‌্যাব সদস্য, ডিজিএফআই সদস্য, এনএসআই সদস্য এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ গুরুতর অপরাধ করছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, আবার প্রকৃত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যখন সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করার প্রয়োজন হয়, তখন জনসাধারণ তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুয়া সদস্য ভেবে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমোদন নিতে হয়। পাশাপাশি বিটিআরসির ভেন্ডারের মাধ্যমেই সংগ্রহ করতে হয় ওয়াকিটকি সেট। এককালীন সাড়ে ৬ হাজার টাকা এবং প্রতি সেটের জন্য প্রতি বছরের নবায়ন ফি ৭০০ টাকা নেয় বিটিআরসি। সাধারণ দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক থাকলে ওয়াকিটকির অনুমোদন মেলে। তবে এক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি থাকে ২৪৫-২৪৬ এমএইচজেড (যা ৮০০ থেকে ১ কিলোমিটার কাভার করে)।

এছাড়া যে এলাকার জন্য লাইসেন্স মেলে সেই এলাকার বাইরে ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সম্প্রতি নতুন নিয়মে ওয়াকিটকির রঙে পরিবর্তন এসেছে। ফলে বৈধ লাইসেন্সধারীরা এখন থেকে আর কালো রঙের ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারবেন না।

সরকারি এসব ঝামেলা না পোহানোর জন্য অনলাইন শপ, স্টেডিয়াম মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইলেকট্রনিকের দোকানে ওয়াকিটকি অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে সরকারি ঝামেলা এড়াতে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি বিক্রি হয়। প্রশাসনের কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় একদিকে লাইসেন্স না করায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। তাই সচেতন মানুষের দাবি, ওয়াকিটকি বিষয়ে প্রশাসনের আরও বেশি নজরদারি থাকা দরকার।

এছাড়া দেশে জনপ্রিয় অনলাইন শপ দারাজে বিক্রি হচ্ছে ওয়াকিটকির অ্যান্টেনা, ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন, মাইক্রোফোন, সফটওয়্যার ডিফাইন রেডিও ইত্যাদি। এছাড়া তারা বিক্রি করছে ফ্রিকোয়েন্সি মিটার, যা দিয়ে ওই এলাকায় ওয়াকিটকির রেঞ্জ পরিমাপ করা যায়।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাদের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহারের লাইসেন্স আছে তারাই কেবল এ ধরনের রেডিও কিনতে ও ব্যবহার করতে পারবে। এর বাইরে অনুমোদন ছাড়া ওয়াকিটকি দিয়ে তরঙ্গ ব্যবহার নিষিদ্ধ। বিটিআরসি প্রায়ই র‌্যাবকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ রেডিও ও এই ধরনের যন্ত্রাংশের অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাবও এরই মধ্যে এ ধরনের একাধিক অভিযান পরিচালনে করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ওয়াকিটকিসহ জড়িতদের গ্রেফতার করেছে। এছাড়া অবৈধ ওয়াকিটকি ব্যবহারে র‌্যাবের সাইবার জগৎ ও অফলাইনে র‌্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

বিটিআরসির উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন) এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, অবৈধ ওয়াকিটকির বিরুদ্ধে বিটিআরসি সবসময় নজরদারি করে। বিটিআরসির একটি টিম রয়েছে সেই টিম অনলাইন-অফলাইনে তথ্য সংগ্রহ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শেয়ারের পর অভিযান পরিচালিত হয়। আমাদের প্রতি সপ্তাহে অবৈধ ওয়াকিটকির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।

বিটিআরসির ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে কেউ অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করলে আপনারা বুঝতে পারেন কি না। এমন প্রশ্নের উত্তরে বিটিআরসির এই উপ-পরিচালক বলেন, না এটা অটোমেটিক বুঝতে পারা যায় না। কারণ এতে মোবাইলের মতো আইএমইআই নেই। তাই এটি আইএমইআই দিয়ে ট্র‌্যাকিংও করা যায় না। ওয়াকিটকির রেঞ্জও ভিন্নতর হয়ে থাকে (৫০০ মিটার থেকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত)। বিটিআরসির সেন্ট্রাল থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি শনাক্ত করা যায় না। যারা ব্যবহার করছে তার কাছাকাছি গেলেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

বিটিআরসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা ওয়াকিটকি ব্যবহার করবেন তাদের জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমোদন নিতে হয়। বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া কীভাবে আমদানি হচ্ছে ওয়াকিটকি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, আমদানি আইনে বলাই আছে- বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে এসব যন্ত্র আমদানি করতে হবে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আকাশ ও নৌপথে বিটিআরসির অনুমতি না নিয়েই আমদানি করছে ওয়াকিটকি। এসব আমদানি ঠেকাতে বিটিআরসির করার কিছুই নেই। এছাড়া অনেক সময় কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়েই লাগেজে দেশে আমদানি হচ্ছে ওয়াকিটকি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *