May 4, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে মার্কেটে ছুটছে মানুষ

1 min read

ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে বেশ জমে উঠেছে এবারের ঈদ বাজার। কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও তা উৎসবপ্রেমীদের আটকে রাখতে পারেনি। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই মার্কেটে ছুটে গিয়ে পছন্দের পোশাক কিনছেন তারা।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, খিলগাঁও তালতলা মার্কেট ও মালিবাগ-মৌচাকের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

‘পরিবার নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ মার্কেট করতে এসেছেন মো. ইয়াছিন। তিনি বলেন, মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর ভালো করে ঈদ উদযাপন করতে পারিনি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বেতন ও ঈদের বোনাস পেয়ে গেছি। তাই পরিবারসহ মার্কেটে কেনাকাটা করতে চলে এলাম।

‘এখন প্রতিদিনই মার্কেটে ভিড় হবে। রোজা থেকে বারবার মার্কেটে আসাও সম্ভব না। তাই আজই পরিবারের সবার কেনাকাটা শেষ করবো। ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হবে না। তবে ঢাকাতে জাঁকজমকভাবে ঈদ উদযাপন করার প্রস্তুতি নিয়েছি।’

জুমার নামাজের পরপরই বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। দলে দলে তারা মার্কেটের বিভিন্ন স্টল ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনছেন।এখানে বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মার্কেটের বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে পাঞ্জাবি দেখেছি। যেই পাঞ্জাবিটা পছন্দ হয় তার দাম অনেক বেশি। অনেক ঘুরে তিন বন্ধু আড়ং থেকে তিনটি পাঞ্জাবি কিনেছি। আড়ংয়ের স্টলেও অনেক ভিড়। পা ফেলার জায়গা নেই। বিল দিতে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

মৌচাক মার্কেটে আসতেই হঠাৎ শুরু হয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি। এই ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই ক্রেতাদের মার্কেটে ছুটে আসতে দেখা যায়। তবে মার্কেটটিতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল তুলনামূলক কম।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে নারীদের থ্রি-পিস বিক্রি করেন আয়নাল হোসেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর আমরা ঈদকেন্দ্রিক তেমন বিক্রি করতে পারিনি। ঈদের আগে মার্কেট খুললেও বিক্রি ভালো ছিলনা। ঈদের বাজারে লাভের বদলে লোকসান করেছি। তবে এবার আল্লাহর রহমতে পরিস্থিতি ভালো।

‘রোজার প্রথমদিকে শুক্র ও শনিবার এই দুই দিন ভালো ক্রেতা পেয়েছি। বাকি দিনগুলোতে অল্পকিছু ক্রেতা এসেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আমাদের ধারণা সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো বিক্রি হবে। কারণ এবারের ঈদে সবাই কেনাকাটা করার চেষ্টা করবে।’বৃষ্টি একটু থামলে মৌচাক থেকে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে যেতেযেতেই আবার বৃষ্টি হানা দেয়। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তালতলা মার্কেটে ঢুকতেই ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা যায় মার্কেটের প্রায় প্রতিটি পোশাকের স্টলে।মার্কেটটিতে থ্রি-পিস কিনতে আসা রাফিয়া হাসান বলেন, আমাদের বাসা গোরান। মার্কেটের উদ্দেশ্য বিকেল ৩টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছি। মার্কেটে ঢোকার আগেই বৃষ্টির মধ্যে পড়ি। যেহেতু মার্কেট করার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছি, তাই বৃষ্টি আসলেও মার্কেট না করে বাসায় ফিরে যাবো না।তিনি বলেন, আমি প্রতি ঈদেই নতুন থ্রি-পিস নেই। গত দুই বছরের ঈদেও নতুন পোশাক কিনেছি। তবে গত দুই বছর মার্কেটে আসা হয়নি। আব্বু একা এসে কিনে নিয়ে গেছেন। দুই বছর পর আবার নিজে এসে ঈদের কেনাকাটা করছি। এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। তবে হুট করে বৃষ্টি আসায় একটু বিরক্তও লাগছে।

মার্কেটটির ব্যবসায়ী মিলন শেখ বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। তবে এখনো শুক্রবার-শনিবার কেন্দ্রিক বিক্রি হচ্ছে। ঈদের যেহেতু আর বেশি দিন নেই তাই আমাদের ধারণা এই সপ্তাহে ভালো বিক্রি হবে।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৩টার পর থেকে মার্কেটে ক্রেতা আসতে থাকেন। ক্রেতারা যে সময় মার্কেটে আসবেন ঠিক সে সময় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এখন ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে আমাদের ধারণা ক্রেতাদের মূল চাপ আসবে সন্ধ্যার পর।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *