April 28, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

এ ঈদে নতুন টাকায় আগ্রহ কম

1 min read

রাজধানীর গুলিস্তান মোড়ে যেতেই গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সিঁড়ি ঘেঁষে রাস্তার পাশে দেখা যায়, বেশকিছু টাকার দোকান। নতুন টাকার বান্ডিল টেবিলে সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সারা বছরই টাকা কেনা-বেচা হয় এখানে। ঈদ উপলক্ষে নতুন টাকার চাহিদা বেশি থাকে। তবে এবার তেমন সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন টাকা বিক্রেতা।

শনিবার (২ জুলাই) গুলিস্তানের টাকার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, টাকা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। দোকানগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট বেশি পরিমাণে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যাদের নতুন টাকা কিংবা ভাঙতি প্রয়োজন, তারা দরদাম করছেন। আবার কেউ পুরোনো ছেড়া টাকা বিক্রি করতে আসছেন। তারা পুরনো ও ছেড়া টাকা দিয়ে নতুন টাকা নিচ্ছেন।

তারা জানান, সরাসরি ব্যাংক থেকে তারা টাকা কিনেন না। ব্যাংক ও তাদের মাঝখানে একজন করে দালাল বা এজেন্ট আছে। যাদের কাছ থেকে প্রতি এক হাজার টাকা পরিমাণের একটি বান্ডিল কিনতে হয় এক হাজার ৫০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার ৯০টাকা পর্যন্ত। যার কারণে কেনার ওপর ভিত্তি করে বিক্রেতারাও এক হাজার টাকার বান্ডিলে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ করেন। অর্থাৎ এক হাজার টাকা পরিমাণের একটি বান্ডিল তারা এক হাজার ৫০ টাকায় কিনতে পারলে বিক্রি করেন এক হাজার ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আবার বেড়ে এত হাজার ৯০ টাকায় কিনতে হলে বিক্রি করেন এক হাজার ১০০ টাকায়।

ব্যাংক থেকে কারা টাকা এনে দেয় জানতে চাইলে এক বিক্রেতা বলেন, ব্যাংক টাকা দেয় না। কিন্তু টাকা দিলে অফিসাররা নিজেরাই দিয়ে দেন।

আনোয়ার হোসেন জানান, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট বিক্রি বেশি হয়। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেন তারা।

পাঁচ বছর ধরে টাকা বিক্রি করছেন মো. শান্ত।  এবার ক্রেতা কম। চারদিকে বন্যা থাকায় মানুষের মধ্যে আমেজ করে টাকা খরচের আগ্রহ কম।

শান্ত বলেন, এক হাজার টাকার একটি বান্ডিল এক হাজার ১০০ টাকা বিক্রি করি। আমি কিনি এক হাজার ৯০ টাকায়। এক বান্ডিলে মাত্র ১০ টাকা লাভ। এছাড়াও কেউ ছেড়া টাকা পরিবর্তন করলে ১০০ টাকায় ২০টাকা বেশি দিতে হয়।

গুলিস্তানে টাকার দোকান কোনো বিতর্ক নেই দাবি বিক্রেতাদের। তাদের মতে অনেক বিতর্ক থাকলেও গুলিস্তানের টাকার দোকানে কাউকে ঠকানো হয় না। এখানে কোনো নকল টাকাও পাওয়া যায় না।মো. আবু হানিফ নোমান নামে এক টাকা বিক্রেতা , আমাদের এখানে কোনো নকল টাকা বা ভেজাল নেই। আমরা টাকার বিনিময়ে টাকা কিনি। তারপর বিক্রি করি। বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছি। আমাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে যায় বড় বড় কর্মকর্তারা।

মোবারক হোসেন নামে এক টাকা বিক্রেতা  ব্যবসা নেই ভাই। একটা সময় লাভ হতো। এখন হয় না। মানুষের কাছে টাকা নেই। টাকা আছে শুধু যারা দুর্নীতি করে তাদের কাছে।

 

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *