অনুকূল আবহাওয়া, এবার রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের আশা সংশ্লিষ্টদের
1 min readঅনুকূল আবহাওয়ার কারণে মৌলভীবাজার জেলার ৯৩টি চা বাগান নতুন কুঁড়িতে সতেজ হয়ে উঠেছে। সবুজ রঙে বদলে গেছে বাগানগুলোর দৃশ্যপট। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ বছর চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জনে চা বাগান ও শ্রমিকদের সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড।
বাগান থেকে চা পাতা তুলে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় কারখানায়। সেখানে সাতটি ধাপে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় চা।
বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান এবং ফিনলে টি কোম্পানির ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, এ পর্যন্ত যে পরিমাণ সূর্যের আলো ও বৃষ্টি পাওয়া গেছে, তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে রেকর্ড পরিমাণে চা উৎপাদনের আশা করছি আমরা।
ইস্পাহানি টি কোম্পানির জেরিন টি এস্টেটের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের চা উৎপাদন গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক বলেন, আমরা কেবল চা উৎপাদন নিয়েই কাজ করছি না। চা উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পোকামাকড় দমন, সেচ নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সার ব্যবস্থাপনা ও গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আশা করছি ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হবে।’বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি বাগানে ৯ কোটি ৫৬ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল। দেশে বাগান/ ক্ষুদ্রায়তন বাগান মিলে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালে ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের মে মাসে বৃহত্তর সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে এক হাজার ৪৫৩ মিলিমিটার। এটি গত বছরের মে মাসের তুলনায় ৮৫৩ মিলিমিটার বেশি। অর্থাৎ, ২০২১ সালের মে মাসে পুরো সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান ছিল ৬০০ মিলিমিটার।