জাতিসংঘ পুলিশ সামিটে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার তিনি ভিসা পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র। তবে ভিসার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আইজিপি জাতিসংঘের নির্ধারিত কর্মসূচি ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না— এই শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে। আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘের পুলিশ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) নাশিয়ান ওয়াজেদ ও সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
গত ৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা সরকারি আদেশে (জিও) বলা হয়, সামিটে অংশ নিতে আগামী ৩০ আগস্ট বাংলাদেশ ছাড়ার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের। তাঁরা দেশে ফিরবেন ৩ সেপ্টেম্বর অথবা নিকটবর্তী সময়ে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই সফরের খরচ পুলিশের জননিরাপত্তা বিভাগ বহন করবে বলে জানানো হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরেই জিও জারির বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাবের) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র ও রাজস্ব বিভাগ। নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর দমন, নিপীড়ন ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় (ওএফএসি) এ নিষেধাজ্ঞা দেয়। তালিকায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন—র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক তিন অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।