৭ মার্চ সরকারী-বেসরকারী ভবনে উড়বে জাতীয় পতাকা
1 min readএখন থেকে ৭ মার্চ সরকারী ও বেসরকারী ভবন এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনে উড়বে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’ সংশোধন করে ৭ মার্চকে পতাকা উত্তোলন দিবসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারির পর সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয় ভাষণের দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ হিসেবে ঘোষণা’ এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন পালন সংক্রান্ত পরিপত্রে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এ দিবসটির ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।
দিবসটি উদযাপনের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে বিষয়ভিত্তিক বণ্টনের আওতায় প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত এবং দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সচেতনতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে সঞ্চারণের লক্ষ্যে এসব কর্মকাণ্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও সংযুক্ত করতে হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
পতাকা বিধিমালার ৪(১) বিধিতে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত দিবস এবং উপলক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারী ও বেসরকারী ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনস্যুলার পোস্টসমূহে নিম্নরূপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হবে- মহানবীর জন্ম দিবস (ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী), ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যেকোনো দিবস।
বিধিমালা সংশোধন করে এখন সেখানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে যুক্ত করা হলো।