১৫ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও মিলছে না ফেরির নাগাল
1 min readরাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি স্বল্পতার কারণে যানবাহনের চাপ কমছে না। ঘাটপ্রান্তে দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের সারি। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঘাটে চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস ৩-৪ ঘণ্টা পর ফেরির নাগাল পেলেও, সাধারণ পণ্যবাহী গাড়িকে কমপক্ষে ১২-১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ওয়াজেদ চৌধুরী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে অধিকাংশ পণ্যবাহী গাড়ি সোমবার সন্ধ্যার পর এসেছে। এছাড়া আজ সকালে আসা জরুরি পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসও রয়েছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় তীব্র গরমে বাসের যাত্রীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরাও বিরক্তি প্রকাশ করছেন।
ট্রাকচালক আলমগীর হোসেন বকুল জানান, গতকাল রাত ১টার দিকে ঘাট থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের সামনে যানজটে আটকা পড়েন তিনি। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত ফেরিঘাট সড়কে পৌঁছাতে পারেননি।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়ার সাতটি ফেরিঘাটের মধ্যে ৩, ৪, ৫, ও ৭ নম্বর ঘাট চালু রয়েছে। ফেরিঘাটের পানি কমে যাওয়ায় ঘাটটি অতিমাত্রায় নিচু হয়ে পড়েছে। এতে ফেরিতে যানবাহনের ওঠানামায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলে। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় তিনটি ফেরি মেরামতে রয়েছে। বর্তমানে এই নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি কম থাকায় মহাসড়কে আজ কিছু যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে। পচনশীল ও যাত্রীবাহী বাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। বিকালের মধ্যে এ চাপ কমবে বলে জানান তিনি।