চট্টগ্রাম নৌ পুলিশের সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে বুধবার হালদায় বিশেষ অভিযানে ওই জাল জব্দ করা হয়, তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ওসি এবিএম মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে হালদা নদীর মোহনা থেকে ছায়ার চর পর্যন্ত অংশে এই অভিযান চলে।
চট্টগ্রামের রাউজান, হাটাহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হালদাকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও চোরা শিকারীদের উৎপাত থামানো যাচ্ছে না।
হালদা থেকে মাছ ধরতে বিভিন্ন ধরনের জাল ব্যবহার ও চোরা শিকারের পথ বেছে নেয় চোরা শিকারীরা।
গত এক মাসের কম সময়ে হালদায় সব মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার মিটার বিভিন্ন ধরনের জাল জব্দ করা হয়েছে।মৌসুমের প্রথম বা দ্বিতীয় ভারি বর্ষণে (এপ্রিলের শেষ বা মে’র শুরুতে) হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ে। এছাড়া পাহাড়ি ঢল নামলে এবং অমাবস্যা বা পূর্ণিমার তিথি থাকলেও ডিম ছাড়ে মা মাছ। সেসময় নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করে হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিম ছাড়তে মা মাছের আনাগোনা বাড়তে শুরু করলে চোরা শিকারীদের উৎপাতও বাড়ে। তাদের অভিযোগ, টানা অভিযানেও থামছে না শিকারীদের তৎপরতা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নদীর কচুখাইন, ছায়ার চর ও মোহনা এলাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মিটার ভাসান জাল জব্দ করে নৌ পুলিশ। তাদের আরেক অভিযানে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২২০০ মিটার চরঘেরা জাল উদ্ধার করা হয় মাঝি পাড়া মদুনাঘাট এলাকা থেকে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।
৯ ফেব্রুয়ারি হালদা নদীর কচুখাইন অংশ থেকে মোহনা পর্যন্ত অভিযানে ২০টি ফিক্সড ইঞ্জিন ও ৩ হাজার মিটার বেহুন্দি জাল জব্দ করে নৌ পুলিশ। একইদিন উপজেলা প্রশাসন ৬০০ মিটার ঘের জাল জব্দ করে।