হাওরে পানি ঢুকে ভিজলো তিন ইউনিয়নের শুকনো ধান-খড়
1 min readজোয়ান শাহী হাওরে পানি ঢুকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার তিন ইউনিয়নের মাঠ-ঘাট প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভিজে গেছে খোলা মাঠে শুকাতে দেওয়া ধান ও খড়। এতে বিপাকে পড়েন কয়েকশ কৃষক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বিস্তৃত অন্যতম হাওর জোয়ান শাহী হাওর। এ হাওরে সাধারণত আষাঢ় মাসে বর্ষার পানি আসে। কিন্তু মেঘনা নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার ভোরে জোয়ান শাহী হাওরের বাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়ে। এতে তলিয়ে যায় জমিতে থাকা ধান। একই সঙ্গে কয়েকশ কৃষকের শুকাতে দেওয়া ধান ও খড় ভিজে যায়। অনেকে দৌড়াদৌড়ি করে ভিজে যাওয়া ফসল ঘরে তুলেন।
আরেক কৃষক মিরান মিয়া বলেন, মৌটুপী গ্রামটি একটি হাওর বেষ্টিত এলাকা। এখানে বছরে ছয় মাস শুকনো আর ছয় মাস পানি থাকে। সাধারণ আষাঢ় মাসে এ হাওরে পানি আসে। কিন্তু এ বছর জ্যৈষ্ঠ মাসেই হাওরে পানি ঢুকেছে। অসময়ে পানি চলে আসায় শতাধিক কৃষকের মাঠে থাকা শুকনো ধান ও খড় ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক বাছির মিয়া বলেন, এ বছর সেচের পানিতে ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। ঈদের পরদিন থেকে এসব জমির ধান কাটতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় জমির ধান শুকাতে পারিনি। এজন্যই ভিজা ধান ও খড় বাড়ির সামনের মাঠে জমা করে রেখেছিলাম। কে জানতো বর্ষার আগেই হঠাৎ পানি চলে আসবে। তাহলে তো আর মাঠে ধান রাখতাম না। অসময়ের পানিতে মাঠে থাকা ৫০ মণ ধান ও খড় ভিজে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, সিলেট অঞ্চলে বন্যা হওয়ায় সেই পানি মেঘনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে উপজেলার জোয়ান শাহী হাওর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হঠাৎ পানি চলে আসায় মাঠে কৃষকদের রাখা ধান ও খড় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।