November 24, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যা করবেন

1 min read

শিশুদের প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। হ্যাঁ, বড়দের মতো শিশুদেরও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। নবজাতক থেকে দুই বছর বয়সী শিশুদের মায়ের বুকের দুধ সবচেয়ে আদর্শ খাবার। এটি খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।

তবে যে শিশুরা বুকের দুধ খায় না সেসব শিশুদের ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিশুর বয়স দুই থেকে তিন বছরের সময় এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। শৌচাগার ব্যবহারের অভ্যাস করানোর সময়ও এ সমস্যা হয়ে থাকে। কেননা শুরুতে এই ব্যাপারটাতে মানিয়ে নিতে পারে না বলেই এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

ঘরোয়া খাবার এবং উপায় মেনে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। তবে শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জেনে নিন কী কারণে শিশুদের রোগ হয়?  

এ বিষয়ে বাবা-মায়ের জেনে রাখাটা খুবই জরুরি। শৌচাগার ব্যবহার করা শিখতে যে শিশুদের কষ্ট হয়, তাদেরই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। শিশু শৌচাগার ব্যবহারে সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তাড়াহুড়ো  না করে।

মলত্যাগের বেগ চেপে রাখা এবং পানি পানের ঘাটতির কারণে এই রোগ হতে পারে। তাই শিশুর মলত্যাগের অভ্যাসে বাবা-মায়ের নজরদারি প্রয়োজন। বাবা-মাকে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।

যে ব্যাপারগুলো খেয়াল করবেন- 

> মলের পরিমাণ, রঙ, ধরন, মলত্যাগের সময় শিশু কোনো অস্বস্তি বোধ করে কিনা, কীভাবে শিশু বসে, বেগ চেপে রাখে কিনা- এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাই শিশুদের শৌচাগার ব্যবহার শেখানো উচিত।

> শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দিনের যে কোনো সময় দুই থেকে তিনবার ভারী খাবার খাওয়ানোর আধা ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ‘পট’ কিংবা শৌচাগারে বসাতে হবে। ‘অ্যানাল ফিশার’ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে। যেন মলত্যাগ হয় ব্যথামুক্ত।

শিশুদের শৌচাগার ‘লো-কমোড’ হলে হাঁটু ভাঁজ করে বসার অভ্যাস করাতে হবে। ‘হাই-কমোড’ হলে পায়ের নিচে পিঁড়ি দিলে ভালো হবে।

>  শারীরিক কসরতের অনুশীলন শৈশব থেকে রপ্ত করানো উচিত। এতে হজমশক্তি জোরদার হবে ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সেসব খাবার খাওয়াবেন 

শিশুকে ফল, সবজি ও ভোজ্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া শস্যজাতীয় খাবার, ডাল, যব ও সালাদ খাওয়াতে পারেন। আর শরীরের চাহিদামাফিক পানি পান করাতে হবে। এ ছাড়া দুধ অতিরিক্ত খাওয়ানো ঠিক নয়। আর ‘জাঙ্ক ফুড’ এড়িয়ে যেতে হবে।

About The Author