শিশুদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করতেই সরকারের সব পরিকল্পনা —প্রধানমন্ত্রী
1 min readদেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ সুন্দর ও নিরাপদ করতেই সরকার বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চাই। আমি এ লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও প্রণয়ন করেছি। এ সময় দেশের শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হূদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস।
আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের শিশুরা নিরাপদে থাকবে এবং সুন্দর জীবন পাবে।
শিশুদের জন্য পরিকল্পনার কথা বলার সময় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতা থেকে কিছু অংশ এ সময় আবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চলে যাব-তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও শিশু প্রতিনিধি শেখ মুনিয়া ইসলাম। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাধিতে ফুল দিয়ে তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এ সময় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এরপর মো. আবদুল হামিদ ও শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে অন্যান্য শহীদের বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করে মোনাজাতে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর দুই নাতি সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।