November 24, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

লড়াই করেই কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

1 min read

ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবী মানুষগুলো তাদের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের রবিবার (১৬ মে) সকাল থেকে চাপ বাড়তে শুরু করেছে। যে গতিতে তারা ঘরে ফেরেন, আজ সকাল থেকে ঠিক সেই গতিতে ফিরছেন কর্মস্থলে। রীতিমতো এ নৌরুটে মানুষের ঢল শুরু হয়েছে।

রবিবার (১৬ মে) সকালে দেখা গেছে, সরকারের বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস না চলায় ব্যাটারিচালিত অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেলে করে ফেরি ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছেন। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ছেড়ে আসা একেকটি ফেরিতে শত শত ঢাকামুখী যাত্রী উপস্থিত লক্ষ করা গছে। এরপর ব্যাটারিচালিত অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে ফিরছেন তারা।

অন্যদিকে যারা ঈদের আগে বাড়িতে ফিরতে পারেননি, তারা এখন বাড়ি ফিরছেন। বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা এখনও প্রচুর। প্রত্যেকটি ফেরিতেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। ফেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীর চাপ থাকলেও স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। যাত্রীদের কোনও ধরনের দুর্ভোগ নেই। ঘাটে পৌঁছে সহজেই ফেরি পার হতে পারছেন মানুষ। ফেরি চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল।

ফেরিঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় সড়ক ও ফেরিঘাটে তাদের চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এ জন্য সেই ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে ঈদের একদিন পর কর্মস্থলে রওনা হয়েছেন।

সরকারের বিধিনিষেধের কারণে দূরপাল্লার বাস না চলায় সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। জেলার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে তারা ঘাটে পৌঁছেছেন। ঘাট পার হয়ে আবারও একই কায়দায় কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেলচালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

দোকান কর্মচারি মোকতার হোসেন জানান, ‌দোকান তো খুলছে, যেভাবেই হোক ঢাকায় যেতেই হবে। বাস বন্ধ, কি আর করার এখন বিভিন্ন পরিবহনে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। ভাড়া দুই-তিনগুণ বেশি দিতে হচ্ছে।
কুয়াকাটা থেকে আসছেন সুমাইয়া আকতার। তিনি বলেন, তারা পরিবারের লোকজন একটি প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে কাঠালবাড়ি ঘাটে এসেছেন রাত ১টায়। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পরে তারা ফেরিতে উঠতে পেরেছেন। তিনি বলেন, রাতে ফেরি পেলে রাতেই তারা ঢাকায় থাকতে পারতাম। ঢাকামুখী মানুষের চাপ একটু বেশি হওয়ায়

About The Author