November 22, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

যে নারীকে বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি

1 min read

নেককার ঈমানদার স্ত্রী সব সময় স্বামীর অনুগত ও উপকারি হয়। তারা দুনিয়ায় জীবনে স্বামীর জন্য যেমন উপকারি তেমনি পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের জন্যও হয় সহায়তাকারী। এ কারণেই কেমন নারীকে বিয়ে করতে হবে সে উপদেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি।

শুধু উত্তম স্ত্রী নির্বাচনের কথাই নয় বরং স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম আচরণের কথাও বলে বলেছেন তিনি। তাদের অধিকারের বিষয়ে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন। স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা স্ত্রীদের ব্যাপারে স্বামীদের লক্ষ্য করে বলেন-
‘আর তোমরা (স্বামীরা) তোমাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে উত্তম জীবনযাপন কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৯)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় ধন-সম্পদ সঞ্চয় না করে পরকালের সহায়তাকারী মুমিন নারীকে বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সোনা-রূপা (মূল্যবান সম্পদ) পুঞ্জীভূত করে রাখার সমালোচনায় কুরআনের আয়াত নাজিল হলে সাহাবায়ে কেরাম বলেন, তাহলে আমরা কোনো সম্পদ ধরে রাখবো?
(তখন) হজরত ওমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি তা জেনে তোমাদের বলে দেব। অতপর তিনি তাঁর উটকে দ্রুত হাঁকিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষাত পেয়ে গেলেন। আমিও তার পেছনে পেছনে গেলাম। তিনি বলেন-
‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কি কোনো সম্পদ সঞ্চয় করব?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই যেন অর্জন করে কৃতজ্ঞ অন্তর, জিকিরকারী জিহবা আর তোমাদের প্রত্যেকের জন্য পরকালের কাজে সহায়তাকারী মুমিনা স্ত্রী গ্রহণ করা উচিত।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, তালিকুর রাগিব)

এ হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন ঈমানদার নারীকে গ্রহণ করতে বলেছেন, যিনি তার স্বামীর জন্য পরকালের সহায়তাকারী হবেন।

বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পূর্ণাঙ্গ ঈমানদারে পরিণত হয়। বিয়ের জন্য পাত্রী নির্বাচনের রয়েছে সুন্নাতি পদ্ধতি। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সম্পদের মালিক, সুস্থ, স্বাধীন ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য বিয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচনে স্নেহময়ী, অধিক সন্তান দানকারী এমন, কুমারী, দ্বীনদার ও সতী-সাধ্বী নারীকে বিয়ে করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাত্রী নির্বাচনের সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছেন। যা এখানে তুলে ধরা হলো-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌নারীদেরকে চারটি জিনিসের জন্য বিয়ে করা হয়। ১. সম্পদের জন্য, ২. বংশ-বুনিয়াদের জন্য, ৩. সৌন্দর্যের জন্য এবং ৪. দ্বীনদারীর জন্য। অতএব দ্বীনদারকেই অগ্রাধিকার দাও। তোমার হাত ধূসরিত (মঙ্গল) হোক। (বুখারি ও মুসলিম)

সুতরাং বিয়ে করার সময় দেখতে হবে পাত্রীর অর্থ-সম্পদ কেমন আছে, যদি না থাকে তবে দেখতে হবে তাঁর বংশ পরিচয় কেমন, যদি তাও সন্তোষ জনক না হয়, তবে দেখতে হবে পাত্রী সৌন্দর্য তথা সুশ্রী ও আচার-আচরণে সভ্য ও ভদ্র) কিনা? যদি তাও পাওয়া না যায় তবে দেখতে হবে তার মাঝে দ্বীনদারি আছে কিনা অর্থাৎ সে নারীর মাঝে আল্লাহ ভয় এবং মহব্বত আছে কিনা। যদি কোনো নারীর মাঝে শুধুমাত্র দ্বীনদারী পাওয়া যায়, তবে সে নারী বিয়ের জন্য সর্বোত্তম। আর এ চারটির কোনো একটি পাওয়া গেলে সে নারীকে বিয়ে করা সুন্নাত।

আল্লাহ তাআলা হাদিসে বর্ণনা মতে মুসলিম উম্মাহর সকল পুরুষকে বিয়ে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

About The Author