মালয়েশিয়ায় জেল পালানো রোহিঙ্গাদের গ্রেফতারের নির্দেশ
1 min readমালয়েশিয়ায় বন্দি শিবির থেকে গত দুদিন আগে ভোররাতে দরজা ভেঙে প্রায় ৫২৮ রোহিঙ্গা বন্দি পালিয়ে যায়। বন্দিদের মধ্যে পুরুষ, নারী ও শিশু রয়েছে যারা দীর্ঘদিন দেশটির ডিটেনশন সেন্টারে (বন্দিশালা) বিচারের অপেক্ষায় আটক ছিলেন।
পালাতে গিয়ে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় গাড়িচাপায় ছয় মতান্তরে ১০ রোহিঙ্গা নিহত হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে এর সূক্ষ্ম তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন।
তারা আরও জানিয়েছে, পলাতক রোহিঙ্গাদের ধরতে সারাদেশে জলে, স্থলে ও জঙ্গলে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির যৌথ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
দেশটির ইমিগ্রেশন ও পুলিশ বিভাগ বলেছে, পলাতক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তারা যেন নিকটস্থ থানাতে যোগাযোগ করে।
এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) দেশটির এম স্টার অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বুধবার ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে পেনাংয়ের সুঙ্গাই বাকাপের অস্থায়ী ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপো থেকে মোট ৫২৮ জন রোহিঙ্গা বন্দি পালি গেছে।
এ ঘটনায় পেনাংয়ের পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ সুহেলি জেইন বলেন, রোহিঙ্গারা পালানোর সময় উত্তর-দক্ষিণ হাইওয়ে অতিক্রম করার চেষ্টা করছিলো। সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটের দিকে রোহিঙ্গাদের কয়েকজন একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে দুজন করে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী, একজন করে মেয়ে ও ছেলে ছিলো।
এদিকে, দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ৫২৮ রোহিঙ্গা পালানোর কথা বললেও কিছু মিডিয়া বলছে এ সংখ্যা ৬০০ থেকে ৭০০ হবে। এরা মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক ছিলেন। মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছেন। তবে শরণার্থীদের মালয়েশিয়ায় কাজ করা নিষেধ।