মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু
1 min readমাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ। সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর ভবনে মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জাপানি কনসালটেন্ট নিপ্পন কোয়েইর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কনসালটেন্টের সঙ্গে ২৩ সেপ্টেম্বর চুক্তি সই হয়েছিল। আজ থেকে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সময়ের দাবি ছিল। এ বন্দরের ফলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক বেল্ট গড়ে উঠছে তা বেগবান হবে।
‘প্রধানমন্ত্রী যে রোলমডেল করেছেন তার সঙ্গে সংগতি রেখে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, ২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে এ টার্মিনালে কাজ শুরু হতে পারে। করোনার মধ্যেও ৭২ বছর বয়সী কনসালটেন্ট কাজ করছেন, যা ইতিবাচক দিক।
তিনি বলেন, ৮-১০ হাজার কনটেইনার নিয়ে জাহাজ আসতে পারবে। আমাদের প্রচুর কনটেইনার পরিবহনের চাহিদা বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যে ডিজাইন করা হচ্ছে। পরে জেটি বাড়লে সক্ষমতা বাড়বে।
‘ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। ৪৬০ মিটার লম্বা জেটি করা হচ্ছে। নদীপথে যুক্ত আছে। পরে সড়ক ও রেলপথ যুক্ত হবে। বড় জাহাজে কনটেইনার আসলে খরচ কমে যাবে, ব্যবসায়ীরা আকৃষ্ট হবেন। ২০২৬ সালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ হয়ে যাবে। ’
তিনি বলেন, একটি বন্দরের অধীনে অনেক টার্মিনাল বন্দর থাকতে পারে। মাতারবাড়ী পোর্ট চট্টগ্রাম বন্দরের সীমার মধ্যে। জাপানি অর্থায়নে প্রি ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে।
টিম লিডার মি. হোতানি বলেন, আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছি। প্রথম ধাপে ডিজাইন, সিভিল ওয়ার্ক হবে। দ্বিতীয় ধাপে হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে। সর্বাধুনিক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এ প্রকল্পে। ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রাখা হবে। টেকনিক্যাল বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে।
এ সময় বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।