বিয়ের আসরে বড় ভাইয়ের পরিবর্তে ছোট ভাই
1 min readসব ঠিক। রব যাত্রীর অপেক্ষায় মেয়ের বাড়ীর লোকজন। গ্রামীবাসীর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া চলছে। চারদিকে উৎসবের আমেজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা পোল্লাডাঙ্গা জিন্নাহনগর গ্রামে বিয়ে বাড়িতে বিরাজ করছে এমনি পরিবেশ।
বরপক্ষের আগমনকে ঘিরে তখন সবার মাঝেই ব্যস্ততা। দুপুর ১২টার দিকে বর আসেন। কিন্তু বরকে দেখে কনে পক্ষের লোকজনের চোখ কপালে উঠার উপক্রম। তাদের কন্যার সাথে তো এই বরের বিয়ের কথা ছিল না। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রচণ্ড হট্টগোল। বিয়ের বাড়ির উৎসব নিমেষেই পণ্ড হয় যায়।
ভোলাহাট উপজেলার তাঁতি পাড়া গ্রামের আকরাম আলীর বড় ছেলে সোহাগ বাবু (২৯) সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিলে পোল্লাডাঙ্গা জিন্নাহনগর গ্রামের এক মেয়ের। কিন্তু বিয়ের আসরে আসেন সোহাগ বাবুর ছোট ভাই সুজন (২৭)।
বিয়ে বাড়িতে আগত অতিথিদের কথা ভেবে, খাওয়া দাওয়া পর্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন কনে পক্ষের লোকজন। অন্যদিকে বর নিয়ে চলতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা পাল্টা কথা। কনে পক্ষ অনড় থাকে তারা নকল বরের সাথে কোন মতেই তাদের মেয়ের বিয়ে দিবে না।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই নিয়ে বিয়ে বাড়িতে বসে বিচারকার্য। উভয় পক্ষকে নিয়ে বিচারে বসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিচারে বিয়ের আয়োজনের খরচ ৩০ হাজার টাকা ও প্রতারণা করার দায়ে আরও ৩০ হাজার, সবমিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নকল বর সুজন আলীকে। পরে সন্ধ্যায় তিন হাজার টাকা দিয়ে ও আগামী বৃহস্পতিবার বাকি জরিমানার টাকা দিবেন এমন শর্তে বিয়ে না করেই শূন্য হাতেই বাড়ির পথ ধরেন নকল বর সুজন।
ভোলাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান রাব্বুল হোসেন জানান, দুই ভাই মিলেই কনে দেখতে এসেছিল, তখন বড় ভাইয়ের বিয়ের কথা বলেছিল। ছেলেটা লেবাননে থাকে, ছুটিতে এসেছিল। কিন্তু পরে বিয়ের নির্ধারিত দিনে ছোট ভাইকে পাঠিয়েছিল বড় ভাইয়ের পরিবর্তে। এই নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। আমরা বিকেলে বসে উভয় পক্ষের কথা শুনে একটা সমাধান করে দিয়েছি। এখানে ঘটকও একটি মিস কমিউনিকেশন করেছিল।