বিমান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বসছে অত্যাধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা
1 min readঘন কুয়াশা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিমান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হযরত শাহজালালসহ তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে দেশের সব বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থাও উন্নয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাৎক্ষণিকভাবে রানওয়ের সব তথ্য জানার পাশাপাশি যন্ত্রের সাহায্যে অবতরণ পদ্ধতি উন্নত হলেই কেবল বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ নিরাপদ হবে। এতে কমবে যাত্রীদের দুভোর্গ ও এয়ারলাইন্সগুলোর আর্থিক ক্ষতি।
শীত এলেই এয়ারলাইন্সগুলোর উদ্বেগ বাড়ে। ঘন কুয়াশায় বা ভারী বৃষ্টিতে রানওয়ে দেখা না যাওয়ায় অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায় বিমান চলাচল। এতে শিডিউল বিপর্যয়ই শুধু নয়, যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি অন্য দেশে উড়োজাহাজ অবতরণের কারণে ব্যয় বাড়ছে এয়ারলাইন্সগুলোর।
বর্তমানে শাহজালালসহ দেশের তিন বিমানবন্দরের আইএলএস’ বা ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম এর ক্যাটাগরি ১। ফলে বিরূপ আবহাওয়ায় দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারের নীচে নামলে বন্ধ হয়ে যায় বিমান উঠানামা। বাকী চারটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে নেই কোন আইএলএস। দুভোর্গ নিরসনে দীর্ঘ দিন ধরে বিমানবন্দরের আইএলএস উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছে বিমান সংস্থাগুলো।
এভিয়েশন খাত বিশেষজ্ঞ এটি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দূর্বল ভিসিবিলিটি ল্যান্ডিংয়ের জন্য যেগুলো দরকার আমাদের কিন্তু সেগুলো নাই। বাংলাদেশে যেগুলো আছে তা হল ইন্সট্রুমেন্ট ক্যাটেগরি-১। তা দিয়ে একটি এয়ারক্রাফট ২৫০ ফিট পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু তারপরে খুব রিস্কি হয়ে যায়। ভিসিবিলিটি যদি ভাল না থাকে, রানওয়ে যদি দেখা না যায় তাহলে এয়ারক্রাফটকে চলে যেতে হয়।’
ইউএস বাংলা জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা ফল ফিন্যান্সিয়াল লুসার। আমাদের যে ফ্লাইট সিডিউল থাকে সেটাতে সমস্যা হয়। তখন সেটা আমাদের রেপুটেশনের ব্যাপার হয়ে যায়। সবকিছু মিলিয়ে দিন শেষে এয়ারলাইন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
নিরবচ্ছিন্ন বিমান চলাচলের জন্য শাহজালালসহ তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অটোমেটিক ওয়েদার সিস্টেম স্থাপনের পাশাপাশি আইএলএস এর ক্যাটাগরি উন্নয়নের কথা জানালেন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘ঢাকাতে এখন নতুন করে অটো ভিসিবিলিটি, ওয়েসার সিস্টেম যেমন ভিসিবিলিটি, বাতাসের পরিস্থিতি এগুলো ফোকাস করা যাবে। ডিজিটাল মোডে এবং ভয়েস কমিউনিকেশনের মাধ্যমে পাইলট জানতে পারবে সরাসরি যে ওই রানওয়েতে কি পরিস্থিতি আছে। শীতকে সামনে রেখে প্রত্যেক বিমান বন্দরের লাইট আপগ্রেড এবং যেখানে যেখানে স্বল্পতা আছে সেখানে সেখানে আমরা পূরণ করছি।’
গেল বছর নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪টি ফ্লাইট বিরূপ আবহাওয়ার কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে না পেরে অন্য দেশে অবতরণে বাধ্য হয়।