November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

বিদায়বেলায় আবেগঘন কন্ঠে যা বললেন নাফিস-রাজ্জাক

1 min read

শাহরিয়ার নাফিস এবং স্পিন সুপারস্টার আব্দুর রাজ্জাক।বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের দুই নক্ষত্র আজ ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি নিজের নাম উঠিয়ে নিলেন। ব্যাট বলের সেই ঝড়ও ইনিংস খেলতে তাদেরকে আর কখনই দেখা যাবেনা।কোটি ভক্তদের সেই ভালোবাসার নাফিস , রাজ্জাকরা খুব অল্প সময়ে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন।

আজ শনিবার বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টেস্ট চলাকালীন দুপুরে বিসিবির মিডিয়া হাউস প্রাঙ্গনে তাদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই তারকা ক্রিকেটারের বিদায় বেলায় তৈরি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ড কর্মকর্তারা। নাফিস আর রাজ্জাক জানান তাদের বিদায়বেলার অনুভূতি।

বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে রাজ্জাক বলেন, ‘কী বলব আজ, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার ছোটবেলার কোচ ফাহিম স্যার এবং ইমরান স্যারকে। তাঁরাই আমাকে রাজ্জাক হিসেবে তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। আমি যখন বিকেএসপি ছেড়েছি, তখন ক্রিকেট বোর্ডের আন্ডারে চলে এসেছি। বোর্ডই তখন থেকে আমার অভিভাবক। এর চেয়ে খুব বেশি কিছু বলা আসলে আমার জন্য আজ কঠিন। দোয়া করবেন আমার জন্য।’

শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘সবার আগে আমি গর্ব করে বলতে পারি যে, আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি। বাংলাদেশের জন্য ক্রিকেট খেলেছি। সর্বপ্রথম আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা আমাকে সবসময় হেল্প করেছেন। ১০ বছর বয়স থেকে আমার আপস অ্যান্ড ডাউন সবসময় পাশে ছিল। আমি বিসিবি, গ্রাউন্ডসম্যান, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ধন্যবাদ জানাতে চাই সিলেকশন টিমের সবাইকে, আপনাদের সাহায্য ছাড়া এতদূর আসা সম্ভব ছিল না। ধন্যবাদ সাংবাদিক ভাইদের আমার সমালোচনা করার জন্য। আপনাদের সমালোচনায় আমি আরও ভালো খেলেছি।’

নাফীস আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আপামর জনগন- যারা আমাকে ভালোবেসেছেন, আমাকে গালি দিয়েছেন, দোয়া করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি রান করেছি, আরও রান হয়ত করতে পারতাম- তবে মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। বিসিবি এবং কোয়াবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন আয়োজন করে আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য। স্পেশাল ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার শৈশবের কোচ ওয়াহিদুল গনি স্যারকে। উনি আমাকে খুব ভালোভাবে তৈরি করেছেন এবং ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।’

 

About The Author