November 26, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

বরিশালে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন

1 min read

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, সৌদি আরবের অর্থায়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশের সব উপজেলা ও জেলা সদরে একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে।

সব মসজিদ হবে একই নকশা ও ডিজাইনের। এতে দেশের মুসলিম ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হবে। দৃস্টিনন্দন মসজিদগুলো দর্শনীয় স্থানে পরিনত হবে। এই মসজিদে নামাজ আদায় করে মুসল্লীদের ইমান এবং ইসলামিক ঐক্য আরও মজবুত হবে।

শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর নগরীর দক্ষিন আলেকান্দা সরকারি বাসভবন চত্ত্বরে বরিশাল জেলা সদরের মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মানের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

সারা দেশের সব জেলা ও উপজেলায় একই ডিজাইনের মসজিদ নির্মান প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সুফল বলে মন্তব্য করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

এ সময় জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শহীদুল ইসলাম, বাস্তবায়নকারী সংস্থা গনপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জেলাল্ড অলিভার গুদা এবং মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, সরকার যে ইসলামকে ভালোবাসে, ইসলামের উন্নয়নে সরকার আন্তরিক তার উৎকৃস্ট উদাহরন এই মডেল মসজিদ প্রকল্প। জেলার ১০ উপজেলায় ১০টি এবং জেলা সদরে ১টি সহ মোট ১১টি মসজিদ নির্মিত হচ্ছে বরিশালে। ইতিমধ্যে ১১টি মসজিদের নির্মান অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গনপূর্ত বিভাগ এই মডেল মসজিদ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেলাল্ড অলিভার গুদা বলেন, সরকারি বাসভবন চত্ত্বরে ৪৩ শতাংশ জমির উপর প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪তলা ভিতের উপর ৪ তলা মডেল মসজিদে ৩২ হাজার ৪৮৫ স্কয়ার ফিট জায়গা ব্যবহার করা যাবে।

মডেল মসজিদে এতে একসাথে ১ হাজার নারী ও পুরুষের পৃথক নামাজের স্থান, ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্র, গনশিক্ষা কেন্দ্র, সভাকক্ষ, অফিস কক্ষ, ইসলামিক চর্চা কেন্দ্র, গেস্ট রুম, মক্তব, নারী ও পুরুষের পৃথক ওযুখানা, লাইব্রেরী, মৃত ব্যক্তির গোসল করানোর স্থান, ইমাম মুয়াজ্জিনের থাকার স্থান এবং গাড়ি পার্কি সহ নানা সুবিধা থাকছে। নির্মান শুরুর দেড় বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।

About The Author