প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা
1 min readসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিতে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, সেটি আপিল বিভাগও বহাল রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে তাদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই ১০ম গ্রেড করাসহ গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা নিতে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার ক্ষমতা দেওয়ারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেন এবং একই দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু তখন মন্ত্রণালয় কৌশলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল প্রবেশ পদে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেড ও প্রশিক্ষণবিহীনদের ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পান।
মন্ত্রণালয়ের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে রিট করা হয়। রাজধানীর সূত্রাপুরের গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রায় দেন।