November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

‘পরিচয় জেনে সিনহাকে স্যালুট দিয়েও গুলিতে সহযোগিতা করলেন কেন?’

1 min read

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছি শুরু থেকেই। কেননা আমার মনে খটকা লেগেছিল, সিনহার পরিচয় জানার পর স্যালুট দিয়েছিলেন চেকপোস্টে থাকা সদস্যরা। এর একটু পর তারাই কেন আবার গুলি করতে (পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে) সহযোগিতা করলেন?

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল রায় ঘোষণার আগে এ পর্যবেক্ষণ দেন। বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে ওই হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী জবানবন্দি দিয়েছেন যে—সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন ওসি প্রদীপ। সিনহার হাতে পিস্তল আছে ভেবে গুলি করেন তিনি। ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে সিনহার বুকের বাঁ পাশে লাথি মারেন। এতে সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান।

বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দুলাল রক্ষিতের জবানবন্দির কথা উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লিয়াকত আগে থেকেই নন্দুলালকে বলেন, (সিনহাকে বহনকারী) সিলভার কালারের গাড়ি থামাতে হবে। (চেকপোস্টে) সিনহার দুই হাত উঁচু ছিল। সেসময় লিয়াকত গুলি করেন। ঘটনাস্থলে প্রদীপ আসার পর সিনহার উদ্দেশে বলেন, ‘অনেক কষ্টের পরে তোরে পাইছি’। এই বলেই বুকে লাথি মারেন। লিয়াকত বলেছেন, ওসি প্রদীপের ভয়ে জব্দ তালিকা তৈরি করেছেন। তিনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই তৈরি করেছেন জব্দ তালিকা।

হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে লিয়াকত ও নন্দুলাল সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, এটা প্রমাণিত বলেও পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন আদালত।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *