ঢাকা কলেজের পাশ থেকে নিউমার্কেট সরানোর দাবি শিক্ষার্থীদের
1 min readঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ী ও হকারদের দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ব্যবসার নামে ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এসবের প্রতিবাদ করছেন।
এই প্রথম নয়, এর আগেও নানা ইস্যুতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষ এড়াতে ঢাকা কলেজের পাশ থেকে নিউমার্কেট অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে প্রধান সড়ক আটকিয়ে ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানান।
কলেজ শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের গর্ব। এই প্রাচীন প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে সৃষ্টি হয়েছে। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা চায় ঢাকা কলেজকে ঝামেলায় ফেলতে। ঢাকা কলেজের পাশ থেকে নিউমার্কেটকে স্থানান্তর করতে হবে। ঢাকা কলেজ চাইলে নতুন করে আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে।
মাহফুজুরের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে এক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী বলেন, নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের কাছে শিক্ষার কোনো জ্ঞান নেই। টাকা ছাড়া এদের কিছু নেই। এরা ছাত্রদের মর্যাদা বুঝবে না। পুলিশের ভূমিকা থাকবে নিরপেক্ষ কিন্তু তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জোট বেধে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
আরও এক বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী বলেন, ব্যবসায়ী নামক কিছু ‘গুন্ডাবাহিনী’ চায় ঢাকা কলেজ এখান থেকে উঠে যাক। ১৮১ বছরের একটা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এর আগে আর কোনো প্রতিষ্ঠান হয়নি। তারা (নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা) কিভাবে বলে ঢাকা কলেজ এখান থেকে সরে যাক। আমরাই দাবি তুলছি দ্রুত নিউমার্কেটকে ঢাকা কলেজের পাশ থেকে স্থানান্তর করতে হবে।
হল ও ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, যেকোনো মূল্যে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, নিউমার্কেটের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পোশাকের অহেতুক দাম হাঁকিয়ে বসে। এছাড়া পোশাক পছন্দের পর না কিনলে ক্রেতাদের বিশেষ করে নারীদের স্লেজিং করা হয়। এসবের প্রতিবাদ করার ফলেই নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে থাকে।