ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে
1 min readদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় বড় আকারের রুপালি ইলিশ। দুইদিন ধরে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নোঙর করে আছে মাছভর্তি সারিবদ্ধ ট্রলার।
সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় তাদের মুখেও ফুটে ওঠেছে হাসির ঝিলিক।
সাগরের বৈরিতা শেষ, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অলস সময় কাটিয়ে এখন জেলেরা সাগরমুখি হয়েছেন। এখন সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। কয়েকদিন আগেও জেলেদের মধ্যে হতাশা আর নীরব কান্না ছিল; দীর্ঘদিন পর এবার লাভের মুখ দেখছেন মৎস্যজীবীরা।
দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসিতে দেখা গেছে সারিবদ্ধ ট্রলার। ভরা মৌসুম থাকা সত্ত্বেও যেখানে দু’দিন আগেও ট্রলার ছিল না আজ মাছ বেচার জন্য ট্রলার নোঙর করে রাখা হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিএফডিসি মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে অপেক্ষা করছে মাছবাহী ট্রাক আর সেডের ঘাটে নোঙর করে রয়েছে মাছভর্তি ট্রলার।
বিএফডিসিতে ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশের মণ বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা, ৮শ গ্রাম থেকে এককেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ৫শ গ্রামের নিচে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকায়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলেদের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। সাগরে এখন প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিরতে ছিলেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরে সাগরে গেলে তেমন মাছ পাচ্ছিলেন না জেলেরা। তাই জেলেরা হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। এখন জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় রীতিমত আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তারা।