November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

চতুর্থ হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো বরিশাল।

1 min read

লক্ষ্যটা বড় ছিল না ফরচুন বরিশালের সামনে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে করতে হতো ১৫১ রান। কিন্তু অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ তিন ব্যাটসম্যান খেলেন একশ’র কম স্ট্রাইকরেটে। যে কারণে বিফলে গেছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঝড়ো ফিফটি কিংবা শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মেহেদি হাসান মিরাজদের ক্যামিও ইনিংস।

ঢাকার করা ১৫০ রানের জবাবে বরিশালের ইনিংস থেমে ১৪১ রানে, ৯ রানে জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে মুশফিকুর রহীমের দল।শুরুটা বেশ ভালোই ছিল বরিশালের। নাসুম আহমেদ, রুবেল হোসেন ও শফিকুল ইসলামদের করা তিন ওভারের ১৫ বলের মধ্যেই পাঁচটি বাউন্ডারি মেরে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। কিন্তু টেনে নিতে পারেননি সাইফ। চতুর্থ ওভারে টানা তৃতীয় বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে প্লেইড অন হয়ে যান ৯ বলে ১২ রান করা সাইফ।

তিন নম্বরে নেমে হতাশ করেন টুর্নামেন্টের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন। শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে রবিউল ইসলাম রবির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সোজা বোল্ড হয়ে ধরেন সাজঘরের পথ। মাত্র ২ রান করতে খেলেন ১১টি বল। শুরু থেকেই ধীর ব্যাটিং করতে থাকেন তামিমও।

ফলে ১০ ওভার শেষে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে মাত্র ৫১ রান। শেষ ১০ ওভারে বাকি থাকে আরও ১০০ রান। অধিনায়ক তামিম সাজঘরে ফেরেন ১১তম ওভারের শেষ বলে। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২২ রান, দুই চারের মারে এই রান করতে ২৮টি বল খেলেন তামিম। শেষের ৯ ওভারে যখন ৯২ রান প্রয়োজন, তখন আশার প্রতীক হয়ে ১৮ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

পরের ১৪ বলে ২৮ রান নেন আফিফ, মাত্র ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ের মারে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি পূরণ করেন আফিফ। কিন্তু পঞ্চাশ পেরিয়ে থেমে যান তিনি। ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে আউট হন আফিফ, করেন ৩৫ বলে ৫৫ রান। এর আগে ১৬তম ওভারের শেষ দুই বলে তৌহিদ হৃদয় (১৬ বলে ১২) ও সোহরাওয়ার্দি শুভকে (১ বলে ০) ফেরান আলআমিন জুনিয়র।

ম্যাচ জেতার জন্য ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। রুবেল হোসেনের করা ১৮তম ওভারে কোনো বাউন্ডারি না হাঁকাতে পারলেও ১০ রান নিয়ে নেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মেহেদি হাসান। পরের ওভারে শফিকুল ইসলাম খরচ করেন ১৫ রান। তবে ফিরিয়ে দেন ৮ বলে ১৫ রান করা মাহিদুল অঙ্কনকে। এরপর আর পারেননি মেহেদি মিরাজ।

ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১০ বলে ১৫ রান করেন মিরাজ। বরিশালের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে। ফলে ৯ রানের জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেছে ঢাকা।

 

About The Author