কুয়াকাটায় তেল সংকটে বন্ধ হচ্ছে খাবার হোটেল
1 min readপটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হঠাৎ সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু জায়গায় অল্প পরিমাণে পাওয়া গেলেও সব জায়গায় মিলছে না। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এরকম অবস্থা চলতে থাকলে তারা হোটেল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। এতে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে কুয়াকাটার মুদি দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দু-একটি দোকানে স্বল্প পরিমাণ সয়াবিন তেল রয়েছে। তবে বেশিরভাগ দোকানে সয়াবিন তেল নেই। দোকানিরা জানান, গত ১০ দিন ধরে কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না।
কুয়াকাটা সদর রোডের সৈকত স্টোরের মালিক জাহাঙ্গীর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কুয়াকাটায় যতগুলো খাবার হোটেল রয়েছে তার অনেকগুলো হোটেলেই আমরা তেল সরবরাহ করি। তবে গত এক সপ্তাহ কোনো কোম্পানি তেল দেয়নি। আমাদের মজুতও শেষের দিকে। এরপরে আর কাউকে তেল দিতে পারবো না।’
খাবার হোটেল আল-মদিনার মালিক আলমগীর বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ চাহিদামতো তেল পাইনি। এখন সংগ্রহে যে তেল আছে তাতে আর এক দুইদিন চলবে। এরপর তেল না পেলে আমরা হোটেল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।’
কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা খাবার হোটেলের সঙ্গে শতভাগ জড়িত। দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সঙ্গে খাবারের দামও বাড়াতে হয়, যা পর্যটকদের জন্য বিড়ম্বনার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়াকাটায় ৭০ থেকে ৮০টি খাবার হোটেল আছে। প্রতিনিয়ত লোকসানের মুখে হোটেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আজও তিনটি হোটেল বন্ধ হয়েছে। কদিন ধরে সয়াবিন তেলের যে সংকট তাতে আমরা চিন্তিত।’