কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষ ॥ দুই ধর্ষক গ্রেফতার
1 min readপটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আবাসিক হোটেলে এক স্কুল শিক্ষার্থী গণধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। আটক জিসান ওরফে সোহেল (১৮) ও ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেল চালক সাগরকে (২১) গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জিসান ওরফে সোহেল মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের বাদশা গাজীর পুত্র এবং ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক। সাগর আমতলী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সানু হাওলাদারের ছেলে। মঙ্গলবার রাতে আমতলী থানা পুলিশ জিসানকে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়ন থেকে এবং সাগরকে আমতলী পৌর এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত জিসান ও সাগরকে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমতলী থানায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ শিক্ষার্থী আমতলী পৌরসভার মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। মোবাইলফোনে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ঐ শিক্ষার্থী।
আমতলী থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের বাদশা গাজীর পুত্র জিসান ওরফে সোহেলের সাথে মোবাইলফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে ঐ শিক্ষার্থীর বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে জিসান ঐ শিক্ষার্থীর সাথে সোমবার শেষ বিকেলে দেখা করতে আমতলী পৌর এলাকায় ঐ শিক্ষার্থীর বাসার সামনে যায়। এরপর সময় জিসান তাঁকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে একটি অটো রিক্সায় তুলে আমতলী সদর ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাটের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা ভাড়াটে মোটরসাইকেল তুলে ঐ শিক্ষার্থীকে কুয়াকাটায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ঐ দিন রাতে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল রাজু নামে একটি আবাসিক হোটেলে জিসান ওরফে সোহেল ও সাগরসহ পাঁচজনে মিলে ঐ স্কুল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষন করে। এরপর হোটেল রাজু থেকে শিক্ষার্থীকে নিয়ে ওঠানো হয় সাগর নীড় নামে অপর একটি আবাসিক হোটেলে। পরবর্তিতে অন্য একটি হোটেলে নিয়ে আবার রাতভর পাঁচ যুবক মিলে ধর্ষণ করে স্কুল শিক্ষার্থীকে। ধর্ষনকারীরা মঙ্গলবার সকালে ঐ স্কুল শিক্ষার্থীকে একটি পরিবহনে তুলে আমতলী পাঠিয়ে দেয়। সে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে পুরো ঘটনা জানায়। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে আমতলী থানায় দুই জনের নাম উল্লেখ সহ ৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামীকে আটক করে।