কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি এক হাজার রিয়াল!
1 min readকাতারের অভিবাসীদের শ্রম আইন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর আইনটির পরিবর্তন এনেছে দেশটির সরকার। এখন থেকে নতুন আইনে কর্মীদের কর্মস্থল পরিবর্তনের জন্য নিয়োগদাতার কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নেয়ার প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি এক হাজার রিয়াল নির্ধারণ করেছে দেশটির সরকার। কাতারের এমন উদ্যোগে প্রশংসা জানিয়েছে জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংস্থা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, কাতার এই অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে প্রবাসী শ্রমিকদের সর্বনিন্ম মজুরি নির্ধারণ করেছে।
কাতারের শ্রম আইনে কর্মীদের অধিকারের বিষয়টিকে উপেক্ষা করার অ’ভিযোগ ছিল বহু আগে থেকে। তবে দেশটিকে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক আলোচনায় আসে বিতর্কিত এ আইন। বিশেষ করে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণসহ অবকাঠোমো উন্নয়নে অভিবাসী শ্রমিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য এবং অনিয়মগুলো হয়ে উঠেছিল উদ্বে’গের কারণ। এ অবস্থার উন্নয়নে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত রোববার শ্রম আইনে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয় (এমএডিএলএসএ)।
কাতারের কাফালা ব্যবস্থায় অভিবাসী কর্মীদের এখন থেকে কর্মস্থল পরিবর্তনের জন্য নিয়োগদাতার এনওসি নিতে হবে না। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নির্দিষ্ট সময়ের নোটিশে চাকরি ছাড়তে পারবেন কর্মীরা। কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম দুই বছরের মধ্যে কর্মস্থল পরিবর্তন করতে চাইলে কর্মীদের এক মাস এবং দুই বছরের পরের চুক্তিতে থাকলে দুই মাসের নোটিশ দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় কর্মীরা নতুন আইনে নির্ধারিত সর্বনিম্ন মজুরি এক হাজার রিয়ালের কম পাচ্ছেন, তাদের চুক্তি হালনাগাদ করতে নিয়োগদাতাদের সঙ্গে কাজ করবে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়। অফিসিয়াল গেজেট আকারে প্রকাশের ছয় মাস পর থেকে কার্যকর হবে এ নিয়ম।
সুত্র – আল জাজিরা ও এনডিটিভি