একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
1 min readতথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে।আজ বুধবার রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর অবদান’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শুধুমাত্র একটি সেতু নয়, বিশ্ববেনিয়াদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের এবং সবার ওপরে শেখ হাসিনার সক্ষমতার প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতু।
ড. হাছান বলেন, যারা ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত ছিলো আজকে তাদের কেউ কেউ নিশ্চুপ হয়ে গেছে। ষড়যন্ত্রে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা নিশ্চুপ, তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা দেশে না বিদেশে আমিও জানি না, আর কেউ কেউ সুর বদলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালে দ্বিতল সেতু নির্মাণ পরিকল্পনায় প্রায় ৩শ’ কোটি ডলারের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১২০ কোটি ডলার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। ডলারের বর্তমান মূল্য ৯৩ দশমিক ১৩ টাকা হিসেবে ৩শ’ কোটি ডলারের মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১১ সালে প্রাক্কলিত ব্যয়ের ডলারকে টাকায় রূপান্তর করলে দেখা যায় খরচ একই জায়গায় রয়ে গেছে। এছাড়া ষড়যন্ত্রের কারণেও নিজের টাকায় করতে গিয়ে কয়েক বছর দেরি না হলে এই খরচ আরো কম হতো।
পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন উল্লেখ করে তুলনামূলক আর্থিক চিত্র তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ‘১৯১০ থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ আজকে নির্মাণ করতে স্বর্ণমূল্য হিসেবে লাগতো ১৭ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১.৮ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু তার চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ বড় অর্থাৎ ৬.১৫ কিলোমিটার। সে হিসেবে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে লাগতো ৫৮ হাজার ৭শ’ ৭৩ কোটি টাকা। আর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হচ্ছে শুধুমাত্র রেল সেতু। পদ্মা সেতুর ওপরে চার লেনের সড়ক, নিচে রেল। অর্থাৎ এই সেতু নির্মাণে ১ লাখ হাজার কোটি টাকা লাগার কথা ছিল। সুতরাং আজকে যারা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদেরকে বলব, অহেতুক প্রশ্ন তুলবেন না। পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা কমপক্ষে ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট সাহাব উদ্দিন চুপ্পুর সভাপতিত্বে ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারাকাত মুখ্য আলোচক হিসেবে এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ সেমিনারে আলোচনা করেন।