ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক কৃষিজমি থেকে পাঁচ কেজি ওজনের একটি মিষ্টি আলু ওঠানো করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের কৃষক হোসেন মিয়ার জমি থেকে আলুটি তোলা হয়।
কৃষক হোসেন মিয়া ওই গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে। বড় আকারের এ আলুটি দেখার জন্যে দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে এসে ভিড় করছেন। বর্তমানে এই আলুটি উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে সপ্তাহব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলায় প্রদর্শনীতে আনা হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী আলুটি মেলায় আসা সবার নজর কেড়েছে।হোসেন মিয়া বলেন, ‘১৫ শতাংশ জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে সিন্ধি প্রজাতির লাল মিষ্টি আলুর লতা রোপণ করি। রোপণের ৬-৭ মাস পরে জমিতে ফলন হয়। জমি থেকে আলু তোলার জন্যে মাটি খুঁড়তে শুরু করে প্রথমে বুঝতে পারিনি এটি এত বড় আকারের। পরে আলুটির চারদিক থেকে মাটি সরানোর পর অবাক হয়ে যাই। পরে ওজন করে দেখা যায়, এর ওজন ৫ কেজি ১০০ গ্রাম। বড় আকৃতির মিষ্টি আলুটি ওঠানোর পর এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। খবরটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার সবাই আমার বাড়িতে আসেন।’তিনি জানান, কম খরচে অধিক ফলন পেতে মিষ্টি আলু চাষের বিকল্প নেই। তার মাত্র ১৫ শতাংশ জায়গায় ২৫ থেকে ৩০ মণ আলু উৎপাদন হবে। প্রতি কেজি আলু স্থানীয় বাজারে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিনি ৫ হাজার টাকার উপরে আলু বিক্রি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল মিয়া ও বাবলু মিয়া বলেন, ‘এ উপজেলায় এত বড় ওজনের মিষ্টি আলু অন্য জমিতে হতে দেখিনি। খবর শুনে এক নজর দেখতে এসেছি।’এলাকার অপর বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, ‘আলু এত বড় হয় তা আমার জানা ছিল না। লোকমুখে শুনে আলুটি দেখতে এসে খুবই ভালো লেগেছে।’ শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, ‘মেলা ঘুরে দেখতে গিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের স্টলে এই আলুটি নজরে পড়ে। প্রথমে বুঝিনি এটি আলু।’
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, ‘সাধারণত আধা কেজি বা এক-দেড় কেজি ওজনের মিষ্টি আলু হয়ে থাকে। পাঁচ কেজি ওজনের এই আলুটি বারী জাতের উচ্চ ফলনশীল আলু। মূলত মাটির গুণাগুণ ভালো হলে ফলন ভালো হয়ে থাকে। ফলন ভালো রাখতে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে আলুটি নিয়ে জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
তিনি জানান, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে