উড়ে এসে জুড়ে বসারাই দলে অঘটন ঘটায় : প্রধানমন্ত্রী
1 min readদলভারী করার জন্য যারা এদিক সেদিক থেকে নেতাকর্মী টেনে আনছে তাদের কঠোর হুশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে এদিক ওদিক থেকে কিছু লোক জোটে এবং দলের ভেতর এসে নানা রকম অঘটন ঘটায় অপকর্ম করে, যার বোঝাটা দলকে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। যখন আসে তখন খুব ভাল ব্যবহার করে, এমনভাবে চলে আসে যে আমাদের কেউ কেউ দলভারী করার জন্য তাদেরকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু এটা নেওয়া আমাদের জন্য সত্যি খুবই ক্ষতিকারক। আমাদের সমর্থন আছে, জনগণ আছে, আমাদের সংগঠন আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একমাত্র সংগঠন, তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের সংগঠন সুসংগঠিত। সেভাবেই আদর্শভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশ উন্নত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শুরু থেকে বার বার নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করেছিলাম এই ধরনের যারা বিশেষ করে মিলিটারি ডিকটেটরিদের হাতে তৈরি করা। এ সমস্ত রাজনৈতিক দল সেগুলো যারা করে এসেছে বা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে যারা ছিল আমাদের দলে যেন তারা না আসে। কারণ তারা আসলে দলেরই ক্ষতি করে। অঘটন তারাই ঘটায় দলের ভাল ভাল নেতাকর্মীদের তারাই হত্যা করে, বাইরে বের হয় দলের কোন্দল। কিন্তু খুঁজলে দেখলে দেখা যাবে, তারা এখান থেকে সেখান থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য যখন সমস্ত কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তখন আসলো করোনাভাইরাস। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে আজকে সব দেশই অর্থনীতি স্থবির। তারমধ্যেও আমরা আমাদের সীমিত সময়ে নিয়েও কাজ অব্যহত রাখতে পারছি। যে কারণে আমাদের রিজার্ভ ৩৯ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক দেশে যেখানে হাহাকার আমাদের দেশে সেরকম অবস্থা নেই। তারপরেও চিকিৎসার ব্যবস্থা যতটুক করার দরকার আমরা করে যাচ্ছি, করে যাব। প্রত্যেক জেলা হাসপাতাল থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছি। স্বাস্থ্য সচেতনতা যাতে সৃষ্টি হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। সকলকে মাস্ক পরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে চলুন। নিজেকে সুরক্ষা রাখা অন্যকে সুরক্ষিত রেখে এটা মেনেই চলতে হবে। এটা এমন একটা ভাইরাস যেটা কেউ দেখতে পায় না কিন্তু এর ফলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের চেষ্টা মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। সংক্রামকটা যাতে কমে তার ব্যবস্থা করা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি দেশের মানুষের কল্যাণে একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলব। হয়তো প্রতিবন্ধকতা আছে এভাবেই চলতে হবে। আওয়ামী লীগ তো উজানে নাও ঠেলেই চলতে হয়। আমরা সেই প্রতিকূলতা অবস্থা মোকাবিলা করেই অভ্যস্ত কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমরা সব সময় যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।
‘যেভাবে জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন। আমরাও রক্ত দিতে প্রস্তুত বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে। তিনি আমাদের মাঝে নেই তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। স্বাধীনতার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন তা মুছে ফেলেছিল ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল।’