করোনায় আক্রান্ত ১৩ কোটি ৬০ লাখ ছাড়াল
1 min readবিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৬০ লাখ ১ হাজার ১১২ জন। এ মহামারিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৪০ জনের। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৬২ হাজার ১০৬ জন।
রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫০ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৮৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬৪ জন।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এশিয়ার মধ্যে ভারত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৫ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ ৭৮ হাজার ৩৩৩ জন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের তালিকায় চারে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৯৮ হাজার ৬০২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৬৩৯ জন।
তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ৬৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৮৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৯ জন।
এরপর করোনাভাইরাস শনাক্তের দিক থেকে তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন ও জার্মানি। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।