বরিশাল-ঢাকা আকাশপথে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু
1 min readটানা এক বছর পর বরিশাল ঢাকা আকাশপথে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আধুনিক ও নতুন বিমান শ্বেত বলাকা যাত্রী নিয়ে বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেখানে বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমানের ফ্লাইটের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সাংসদ জহিদ ফারুক শামীম-এমপি।
ফিতা কেটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জহিদ ফারুক শামীম।
প্রধান অতিথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এ দুটির মহালগ্নে আজ বরিশাল-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হওয়ায় আমরা সকলেই গর্বিত ও আনন্দিত। প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ আজ বাংলাদেশ সল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পৌছেছে এবং তার নেতৃত্বেই আমরা ২০৩১ সালে বাংলাদেশে উচ্চ মধ্যম আয়ে এবং ২০৪১ সালে সমৃদ্ধশালী দেশের লক্ষে অগ্রসর হচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকের বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তার জন্যই বাংলাদেশ বিমানের বহরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হয়েছে। একটা সময় দেখেছি বিমান চলাচল করতো কিন্তু যাত্রী ছিলো না। কারণ তখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সঙ্গতিটা তেমন ছিলো না বিধায় লোকজন টিকিট কেটে বিমানে চড়তো না। কিন্তু এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। ফলে বেসরকারি বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থার ফ্লাইট চালু থাকার পরও বরিশাল-ঢাকা রুটে টিকিট পাওয়া যায়না। ৩২ শত টাকার টিকিট ৭-৮ হাজার টাকাতেও ক্রয় করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বরিশাল তথা দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ আমরা। অন্যান্য সরকারের সময় এ অঞ্চল অবহেলিত থাকে। শুধুমাত্র মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারে আসে তখন এ অঞ্চলের উন্নয়ন হয়। আজ দক্ষিনাঞ্চলে পায়রাবন্দর হচ্ছে, পদ্মা সেতু শেষের পথে। পদ্মা সেতু থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ফোরলেনের রাস্তা হবে, রেললাইন হবে। এগুলো হলে শিল্প-কারখানা স্থাপন বাড়তে থাকবে, মানুষের চাকুরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হবে, অর্থনৈতিকভাবে তারা আরও স্বাবলম্বী হবে।
তিনি বরিশালবাসীর উদ্দেশে বলেন, এটি সম্পূর্ণ নতুন বিমান। যা খুবই সুন্দর ও আরামদায়ক। আমার অনুরোধ থাকবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানে যাত্রা করুন। সেখানে টিকিট না পেলে বেসরকারি সংস্থায় খুঁজতে যান। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা হিসেবে এটাকে বাচিয়ে রাখা দায়িত্ব আমাদের। এমডি সাহেব বলেছেন, এখন থেকে প্রতিদিন সকালে একটি করে ফ্লাইট যাওয়া আসা করবে, যদি ফুল লোড থাকে তাহলে বিকেলেও একটি করে ফ্লাইট দেওয়া হবে। ফলে এটার দায়-দায়িত্ব আমাদের। যদি আমরা লক্ষ অর্জন করতে পারি তাহলে তারা ফ্লাইটের মাত্রা বাড়িয়ে দিবেন। যাত্রী না দিতে পারলে বিমান বন্ধ হয়ে যাবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রতি অনুরোধ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে যাত্রা করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশন এনামুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আলমগীর খান আলো, বিমানের বরিশালের মেনেজার প্রশান্ত কুমার, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু প্রমুখ।’