রিফাত হত্যা : ১৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
1 min readবহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী রোববার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় বরগুনার শিশু আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে আদালত বন্ধ থাকায় পাঁচ মাস পর এ মামলার ৭৪তম ও শেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে কারাগারে থাকা এ মামলার সাত আসামিকে সকাল ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে হাজির হন এ মামলায় জামিনে থাকা অপর সাত আসামি।
সাক্ষ্য দেওয়ার সময় তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রজেক্টরের মাধ্যমে এ মামলার তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের পাশাপাশি আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম মুলতবি করে আগামীকাল সকাল ১০টায় আবার শুরু করার আদেশ দেন আদালত।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন বন্ড বাহিনী। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। প্রতিবেদনে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামির পাশাপাশি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২৬ আগস্ট যুক্তি-তর্কের দিন ধার্য করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ ও ২৫ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, ১৪ আসামির মধ্যে রিশান ফরাজীসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আরিয়ান হোসেন শ্রাবণের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে, গত ৮ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন শিশু আদালত।