মাদক-জুয়ার আসরে আটকের পর সাময়িক বরখাস্ত ৬ পুলিশ
1 min readমাদক সেবন ও জুয়া খেলে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ছয় সদস্য।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।
গত বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী কলেজের ছাত্রাবাস সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছয় জনকে আটক করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
এ ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক, এএসআই মিজানুর রহমান, নায়েক আফজাল সরকার, কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন, কনস্টেবল আবদুস সালাম এবং কনস্টেবল সাহেদ আলী।
এদের মধ্যে এএসআই আবদুল বারেক, এএসআই মিজানুর রহমান ও নায়েক আফজাল সরকারের আরএমপির এসএএফ শাখায় কর্মরত। এছাড়া কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন এমটি শাখায়, কনস্টেবল আবদুস সালাম মেট্রোকোর্ট এবং কনস্টেবল সাহেদ আলী পিওএম বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
আরএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর শেখপাড়া এলাকায় ‘বিয়ের আমন্ত্রণ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলের দোতলার ২০২নং কক্ষে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবন করেন এই পুলিশ সদস্যরা। রাত ১টারদিকে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বিষয়টি অবগত হয়ে সেখানে যান।
এ সময় তিনি অভিযোগের সত্যতা পান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এসআই মাসুদ রানা ওই ছয় পুলিশ সদস্যকে আরএমপির আরআই মাহফুজুর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে হস্তান্তর করেন।
পুলিশ কমিশনারের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যদের এমন কার্যকলাপ বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও অসদাচরণের সামিল। পিআরবি রুলস ৮৮০ মোতাবেক তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
আটকের রাতেই তাদের পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়। এখন সেখানেই তারা সংযুক্ত রয়েছেন।