November 24, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা অত্যন্ত খুশি’

1 min read

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৬৪২ জনকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) তাদেরকে আটটি জাহাজে সেখানে পাঠানো হয়।

ভাসানচরে ওই দলের সঙ্গে থাকা সৈয়দ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা জানান, এখানে পৌঁছে সব সুযোগ-সুবিধাগুলো দেখে খুব খুশি হয়েছি।

পরবর্তী যাত্রায় ভাসানচরে আসার জন্য কক্সবাজার ক্যাম্পে থাকা তার স্বজনদের উৎসাহিত করবেন বলে জানান তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা অত্যন্ত খুশি। আমি কখনই ভাবিনি যে এত সুন্দর জায়গাটি, এত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

সৈয়দ তার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবসহ বেশ কয়েকজনকে ফোন করেছেন যারা এখনও কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন। বিনাদ্বিধায় ভাসানচরের দ্বিতীয় দলের যাত্রায় যোগ দিতে উৎসাহিত করেন তাদের।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ফোন করেছি। ভাসানচরে আসার পরে এটিই আমি প্রথম করলাম।’

৩০ বছর বয়সী সৈয়দ উল্লাহ স্ত্রী, তিন মেয়ে ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বিকেলে ভাসানচরে পৌঁছান।

তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের এখানে আসতে বাধ্য করেনি। আমি স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি। এখানকার সুযোগগুলো দেখার পরে সবাই এখানে আসতে রাজি হবে। আমরা এখন আরও বেশি খুশি। সবাই এখানকার সুযোগ সুবিধা দেখে অনেক খুশি। আমরা যা ভেবেছি তার থেকে বেশি পেয়ে আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সৈয়দ উল্লাহ কক্সবাজারের তুলনায় মসজিদ, আবাসন সুবিধাসমূহ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

রোহিঙ্গাদের প্রথমে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয় এবং রাতে একটি স্কুলে রাখা হয়েছিল। সকালে তারা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। আর বিকেল ৩টার দিকে তারা ভাসানচরে পৌঁছান।

About The Author