November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা রিমান্ডে

1 min read

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১২ নভেম্বর দুপুরে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর অসুস্থতার বিষয়ে অবহিত করে ফাতেমাকে আদালতে হাজির করতে হাজতি পরোয়ানা (পিডব্লিউ) ইস্যুর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনে বলা হয়, ফাতেমা খাতুনকে গ্রেপ্তারের পর ১২ নভেম্বর আদাবর থানায় আনা হয়। আগে থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত তিনি। থানা হেফাজতে থাকাকালীন ১৩ নভেম্বর ১২টা ১০মিনিটের বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয়। অধ্যাপক ডাক্তার গোলাম আজমের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন।

গেলো ১০ নভেম্বর হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়সহ ১০ জনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

তারা হলেন- হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ ও মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ।

এএসপি শিপনকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গেলো সোমবার রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে ভর্তির কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, ওই হাসপাতালে ভর্তির পরই সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ছয়জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরো দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এসময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। চার মিনিট পর আনিসুলকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই তার শরীর নিস্তেজ ছিল। একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। তাতেও আনিসুল করিম নড়াচড়া করছিলেন না। তখন কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পরিষ্কার করেন। সাত মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন, সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সবশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। পারিবারিক জটিলতায় কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রাতে ওই হাসপাতালে গেলে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরে তার নিজ বাসভবনে আনিসুল করিমকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।

About The Author