November 23, 2024

ফরচুন নিউজ ২৪

বিরল ব্লু মুনের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব

1 min read

এবারের হ্যালোইনপ্রেমীদের জন্য বাড়তি একটি আনন্দ যোগ হচ্ছে ব্লু মুন। তারা একই সঙ্গে দু’টি জিনিস উপভোগ করতে যাচ্ছেন। হ্যালোইন উৎসবের মধ্যে শনিবার রাতেই বিরল ব্লু মুনের দেখা পাওয়া যাবে।

যদিও এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আগের বছরগুলোর মতো হ্যালোইন উৎসবের আমেজ থাকবে না। এবার বাড়তি আনন্দ হিসেবে আকাশে দেখা দিচ্ছে নীলাভ চাঁদ। এমন দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়।

আয়ারল্যান্ডের জ্যোতির্বিদদের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবার আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে হ্যালোইন এবং পূর্ণ চাঁদ একসঙ্গে দেখা দেবে। চাঁদের এই নীলাভ রঙ ধারণের পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাখ্যা। ব্লু মুন কিন্তু পূর্ণিমার চাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই চাঁদের।

সাধারণত কোনও মাসে যদি দু’বার পূর্ণিমা হয় তবে দ্বিতীয় বা শেষ পূর্ণিমায় দেখা পাওয়া যায় ব্লু মুনের। ১ অক্টোবর ছিল পূর্ণিমা। আবার ৩১ অক্টোবর রাতেও হচ্ছে পূর্ণিমা। সে কারণে আজ রাতে চাঁদকে নীল রঙে দেখা যাবে।

সাধারণত বছরে ১২টি পূর্ণিমা হয়। প্রতি মাসে একটি করে। ইংরেজিতে প্রতিটি পূর্ণিমার একটি করে নাম রয়েছে। বিভিন্ন দেশীয় ও উপজাতি সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে এই নামকরণ করা হয়েছে।

নামে নীল চাঁদ হলেও, আসলে তা পুরোপুরি নীল হয় না। এটাকে ব্লু মুন বলে ডাকা হয় কেন তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ব্লু মুন সাধারণত কোনো মৌসুমের তৃতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয়। বসন্ত, গ্রীষ্ম, হেমন্ত ও শীতের মৌসুমের তৃতীয় পূর্ণিমা হলো ব্লু মুন। নাসার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৮৮৩ সালে ইন্দোনেশিয়ান আগ্নেয়গিরি ক্রাকাতোয়ায় ভয়াবহ উদগীরণ হয়। প্রচুর পরিমাণে কালো ছাই বাতাসে জমা হয়।

সে সময় আকাশ কালো হয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে চাঁদের আলো পড়ে পুরো চাঁদকে নীল রঙের দেখাচ্ছিল। সেখান থেকেই ব্লু মুনের ধারণার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়।

সাধারণত ব্লু মুন মানেই নীল রঙের চাঁদ নয়। অনেক সময় মাস ৩০ দিনের হলে ব্লু মুন দেখা যায়। শেষবার ব্লু মুন দেখা গেছে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি। এবার ব্লু মুন দেখার সুযোগ হাতছাড়া হলে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত।

About The Author