২০২০ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহে বিশ্বে বাংলাদেশ অষ্টম: বিশ্বব্যাংক
1 min readমহামারি করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতেও প্রবাসীরা দেশে ব্যাপকহারে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, রেমিট্যান্স প্রবাহের দিক দিয়ে এই বছর বিশ্বে অষ্টম স্থানে আসবে বাংলাদেশ।
এদিকে চলমান বিশ্বের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা হলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতিতি একদমই বিপরীতমুখী। তাই তো চলমান এই মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালে দেশে রেমিট্যান্স ২০ বিলিয়ন ডলার আসবে বলে বিশ্বব্যাংকের প্রত্যাশা।
শুক্রবার ওয়াশিংটন সদর দফতর থেকে ‘কোভিড-১৯ ক্রাইসিস থ্রো মাইগ্রেশন লেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, চলতি বছর করোনার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দুইটি দেশে রেমিট্যান্স বাড়বে যার মধ্যে বাংলাদেশেই বাড়বে আট শতাংশ। এই বছর দেশে রেমিট্যান্স আসবে ২০ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সুসংবাদ।
অপ্রাতিষ্ঠানিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে করোনার মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রেমিট্যান্সের দিক দিয়ে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের আগে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশ রয়েছে। পাকিস্তানের রেমিট্যান্সের পরিমাণ হতে পারে ২৪ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে শীর্ষে থাকলেও চলতি বছর ভারতে রেমিট্যান্স কমতে পারে নয় শতাংশ। সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স কমবে চার শতাংশ। পুরো বিশ্বে সাত শতাংশ কমার আশঙ্কা বিশ্বব্যাংকের।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) অনুপাতে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। যা জিডিপির ছয় দশমিক দুই শতাংশ। এক্ষেত্রে প্রথমে রয়েছে নেপাল (২৩ শতাংশ), দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তান (নয় দশমিক এক শতাংশ) এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে শ্রীলংকা (আট দশমিক দুই শতাংশ)।