খুলে দেয়া হবে বরিশালের একমাত্র সিনেমা হল
1 min readদীর্ঘ সাড়ে ছয় মাস পর বরিশালের চলচিত্র বিনোদনের একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ অভিরুচি সিনেমা হল বাংলার সুপার স্টার হিরো শাকিব খানের ‘শাহেন শাহ’ ছবির প্রদর্শণের মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহ হলটি সরকারী নির্দেশনা খুলে দেওয়া হবে।
বৈশ্বিক কোভিড-১৯ করোনা কালীন সময় দেশব্যাপি সকল চলচিত্র প্রদর্শনের সিনেমা হল চলার মাধ্যমে সাধারন জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকায় সরকারের নির্দেশে তথ্য মন্ত্রালয় সিনেমা হলের চলচিত্র প্রদর্শণ বন্ধ করে দেয়।
“ একসময় চারটি সিনেমা হল চালু ছিল। সপ্তাহে বেশ কয়েক দিন থাকত প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ। টিকিট পাওয়া যেত না অনেক সময়। ব্ল্যাকে টিকিট কিনতে হতো। কিন্তু এখন সেসব শুধুই ইতিহাস। বর্তমানে মাত্র একটি সিনেমা হল রয়েছে বরিশাল নগরে। অভিরুচি নামের ওই হলে চলছে ঈদের ছবি বসগিরি। ঈদের ছবি দেখার জন্য ভিড় নেই সেখানেও।বরিশালের একমাত্র প্রেক্ষাগৃহ অভিরুচির কর্তৃপক্ষ জানায়, এই প্রেক্ষাগৃহে ৮০০ আসন রয়েছে। ঈদের দিন দর্শক হয়েছেন ৩০০ জন। ঈদের পরের দিন কমে তা ১৫০-এ দাঁড়িয়েছিল। স্বাভাবিক সময় কোনো কোনো শোতে মাত্র ৫ থেকে ৩০ জন দর্শক হন। দর্শকসংখ্যা পাঁচের নিচে নেমে এলে চলচ্চিত্র প্রদর্শন সম্ভব হয় না। বিদ্যুৎ কিংবা অন্য সমস্যার কথা বলে দর্শকদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
দর্শকশূন্যতায় বন্ধ হয়ে গেছে সোনালী, কাকলী ও বিউটি সিনেমা হল। সেখানে গড়ে উঠেছে বিপণিবিতান। অভিরুচি সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক অমূল্য রতন বর্ধন প্রথম আলোকে বলেন, ঈদ-পূজায় কিছু দর্শক বাড়েন। এবার ঈদের ছবি বসগিরিতে সর্বোচ্চ দর্শক ছিলেন ৩০০ জন। যাঁদের বাড়িতে বিনোদনের সুযোগ একেবারেই নেই, তাঁদের একটা অংশ হলে আসেন ছবি দেখতে। এই পরিস্থিতিতে হলটি চালু রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অভিরুচি হলের এক মাসের দর্শক উপস্থিতির তালিকা থেকে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে ১ হাজার ৯৬৩ জন দর্শক সিনেমা হলে এসেছেন। এর মধ্যে সমতার (তৃতীয় শ্রেণি) দর্শক ছিলেন ৭৫৪ জন। সুধী (দ্বিতীয় শ্রেণি) ৬৭২ ও বিলাস (প্রথম শ্রেণি) ছিল ৫৩৭ জন। বক্স ছিল শূন্য। প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন দর্শক হলে এসেছেন। আর প্রতি শোয়ে গড়ে দর্শকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২১।