এমসি কলেজে গণধর্ষণ, ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
1 min readসিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মীর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রাবাসে গিয়ে ওই তরুণী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত ১০টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা শিববাড়ির ওই তরুণী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের বন্ধ থাকা ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ করে তারা।
এমসি কলেজে তরুণীকে ধর্ষণের সাথে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতার সম্পৃক্ততার বিষয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তারা হলো এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজিতে মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম ও তারেক আহমদ।
এদিকে রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়েছে গণধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে। রাতে এমসি কলেজের হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সাইফুর রহমানের রুম থেকে ১টি পাইপগান, ৪টি রামদা, ১টি চাকুসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করেছে পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় ধর্ষকদের পদ-পদবী নেই। তবে কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তারা সক্রিয় ছিলো।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে রাতভর অভিযান চলেছে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া গণধর্ষণের ঘটনায় আজ শনিবার সকালে ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।