শেয়ার বাজার : বিও একাউন্ট কি? কিভাবে বিও একাউন্ট খোলা যাবে?
1 min readবাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য একটি ব্রোকার হাউজে একটি BO (Beneficiary Owner’s) অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একটি বিও অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো, তবে এটি একটি ব্রোকার হাউজে খুলতে হবে। BO অ্যাকাউন্টে ব্যাংক একাউন্টের মতোই অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন আমানত সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।
সাধারনত দুই ধরনের বিও একাউন্ট রয়েছে:
১. সাধারন বিও একাউন্ট-বাংলাদেশী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে বসবাস করে এমন ব্যক্তি সাধারন বিও একাউন্ট খুলতে পারে।
সাধারন বিও একাউন্ট আবার তিন ধরনের-
- একক মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (বিনিয়োগকারী নিজের নামে বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)
- যৌথ মালিকানাধীন বিও একাউন্ট (দুই জন ব্যক্তি সম্মিলিত ভাবে একটি বিও একাউন্ট খুলতে পাড়বে)
- বিনিয়োগোকারী চাইলে নিজের কোম্পানির নামে বিও একাউন্ট খুলতে পারবেন।
২. এনআরবি বিও একাউন্ট (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী)- বাংলাদেশী প্রবাসীদের এবং বিদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সুবিধা দেয়ার জন্য এই ধরনের বিও একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে।
এছাড়াও অন্য এক ধরনের একাউন্ট রয়েছে- যা লিংক বিও একাউন্ট নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারী বর্তমান ব্রোকারেজ হাউজ থেকে কোন শেয়ার বিক্রি না করে লিংক বিও একাউন্টের মাধ্যমে অন্য হাউজে বিও একাউন্ট ট্রান্সফার করতে পারবেন।
কিভাবে বিও একাউন্ট খোলা যাবে?
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য বিও একাউন্ট খোলা হচ্ছে প্রথম ধাপ। বিও একাউন্ট খোলার জন্য
কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন।
এগুলো হলো:
- আবেদনকারীর কপি ছবি
- এনআইডি বা পাসপোর্টের কপি (স্ক্যান/ছবি)
- ব্যাংকের তথ্য
নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশী (এনআরবি) বিও হিসাব খুলতে-
- আবেদন কারীর ২ কপি passport size ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড/রেসিডেন্স পারমিট ইত্যাদির সত্যায়িত কপি
- ফরেন কারেন্সী ব্যাংক হিসাবের তথ্য
- NRB হিসাবে আয় এর তথ্য বিবরনী বা সেলারি/ইনকাম বিবরনী
- নমিনি জাতীয় পরিচয়পত্র কপি ও ছবি
- হিসাব পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে অথরাইজ করে POA (Power of Attorney) প্রতয্যনপত্রের কপি(যদি প্রয়োজন হয়)
বিও একাউন্ট খোলার খরচপাতি:
- ৪০০-৫০০ টাকা
বিও একাউন্ট খোলার পর যা কিছূ করণীয়:
বিও একাউন্ট খোলার পর বিও একাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। অথবা ব্রোকারের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা জমা দিয়ে জমা স্লিপটির স্ক্যাক/ছবি অথবা বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমে জমা দিয়ে (১% চার্জ প্রযোজ্য) করে তার স্ক্রিন সট অথবা অনলাইনে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে তার ছবি/স্ক্রিন সট নিয়ে ব্রোকারের ওয়েব সাইটের ডিপোজিট বা জমা (Deposit Link) ফর্ম পুরন করে টাকা বিনিয়োগকারীর বিও একাউন্টে জমা করার জন্য আবেদন করতে হবে।
সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়:
প্রাথমিক বাজার বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং অর্থাৎ আইপিও তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে ন্যূনতম ৫,০০০/= টাকা এবং মাধ্যমিক বাজার বা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিও হিসাবে সর্বনিম্ন ১০,০০০/= টাকা জমা দিয়ে নতুন বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন । সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসায় করতে পুঁজির পরিমান আসলে নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর কাঙ্ক্ষীত লাভের হার বা ‘এক্সপেক্টেড রেট অফ রিটার্নের’উপর।
কিভাবে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন:
বিও একাউন্টে টাকা জমা করার পর শেয়ার বেচা-কেনার জন্য তৈরি বিনিয়োগকারী। একজন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন ভাবে শেয়ার কেনা বেচা করতে পাড়বেন-
অনলাইন (মোবাইল এ্যাপস বা গ্রাহকের ওয়েব সাইট লিংক) অথবা
অথোরাইজ রিপ্রেজেন্টেটিভকে ফোনের মাধ্যমে অথবা সরাসরি ব্রাঞ্চে এসে।