প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওআরএ মন্ত্রীদের সাক্ষাৎ
1 min readবাংলাদেশে সফররত বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সংলাপ অংশীদাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আইওআরএ মন্ত্রীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কমোরোস, ভারত, মালদ্বীপ, মোজাম্বিক, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেনের মন্ত্রীরা এই গ্রুপে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে মন্ত্রীদের স্বাগত জানান এবং ২২তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আইওআরএ’র চেয়ারম্যানশিপ চলাকালীন বাংলাদেশে তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা তার সরকারের ‘রূপকল্প-২০৪১’ সম্পর্কে প্রতিনিধিদের অবহিত করেন। যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ, সমতাভিত্তিক ও উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে সফররত মন্ত্রীদের অবহিত করেন।
বাংলাদেশকে একটি অর্থনৈতিক রোল মডেল হিসেবে রূপান্তরিত করা এবং প্রশংসনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের জন্য সফররত মন্ত্রীরা তার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল ও চেম্বার কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিভিআইপি সফর বিনিময় ও পরিদর্শনের নিয়মিত আদান-প্রদান হওয়া উচিত। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ব্যবসায়ীদের এবং জনগণের মধ্যে আরও যোগাযোগ হওয়া উচিত।
এসময় আইওআরএ মন্ত্রীরা একমত হন যে, আন্তঃআঞ্চলিক বিনিয়োগ প্রবাহ পরিমিত এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী হবে বলেও মনে করেন তারা।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী তাদের সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং তাদের দেশে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি আইওআরএ’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানদের এবং সংলাপ অংশীদারদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা জানান।
আইওআরএ ঢাকা ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, বিগত কমিটি অব সিনিয়র অফিসিয়ালস (সিএসও) তে আইওআরএ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ নামকরণ করা হয়েছে। যার ফলে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে ভালো অগ্রগতি হয়েছে।